২৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম উৎসবের উদ্বোধনে চাঁদের হাট। নতুন কিছু নয়। প্রতিবারই এই চাঁদের হাট বসে নভেম্বরে। এবার সেই চাঁদের হাটে একজনের উজ্জ্বল উপস্থিতি, অন্যজনের অনুপস্থিতি নজর কাড়ল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে হাজির থাকতে পারলেন না অমিতাভ বচ্চন। সেই অভাব অবশ্য পূরণ করে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এবারই প্রথম কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনে হাজির হলেন। এছাড়াও ছিলেন মহেশ ভাট সহ বাংলার তামাম শিল্পীরা। আর ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শাহরুখ খান বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। মুখ্যমন্ত্রীরও খুব প্রিয় পাত্র তিনি। তাঁকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মজা করেই বলেন, শাহরুখকে এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রতিবার আসতেই হবে। তাঁর ছুটি নেই। নাহলে শাহরুখের সঙ্গে কাট্টি করে দেবেন তিনি। এই কথায় হাসির রোল ওঠে নেতাজি ইন্ডোরে। এদিন শাহরুখ খান তাঁর ছোট্ট বক্তব্যের পর কোথাও একটা আক্ষেপ নিয়েই বলেন, হিরোরা যাই বলুন না কেন তাঁদের লোকে দেখতে আসেন, শুনতে আসেন না। আর আসেন তাঁর ডায়লগ শুনতে। তাই তিনি শেষে রইস সিনেমা থেকে একটি ডায়লগ একটু রদবদল করে বলেন। শাহরুখ বলেন, আম্মি বলতেন, কোনও ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বড় বা ছোট হয়না, কিন্তু কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সবার সেরা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ২টি বৃন্তে ২টি কুসুমের মতই হাজির হয়েছেন সৌরভ ও শাহরুখ। সেই সৌরভ এদিন স্বীকার করেন যে তিনি এই জগতের মানুষ নন। তিনি এমন অনুষ্ঠানেও আসেননি। তবে এদিন একটা বিষয় নজর কেড়েছে। সৌরভ তাঁর বক্তব্যে আলাদা করে শাহরুখের প্রশংসা করেছেন। শাহরুখও সৌরভের প্রশংসা করেছেন। তবে কী বরফ গলেছে? কারণ কেকেআর-কে কেন্দ্র করে সৌরভ ও শাহরুখের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কথা প্রায় সকলেরই জানা।
যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে এদিন কলকাতায় আসেন পরিচালক মহেশ ভাট। তিনি বলেন, এই দেশের সবচেয়ে সুন্দর দিকই হল এখানকার ভাষার বৈচিত্র্য। কোনও একটি ভাষাকে সকলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায়না। কিন্তু সিনেমার ভাষা একটাই হয়। একজন গল্পকার, গল্প বলিয়ে পারেন ভাষার সীমা অতিক্রম করে যেতে। সেখানে একটাই ভাষা হতে পারে সিনেমার ভাষা। বাংলা সিনেমার গুণমানের কথা তুলে ধরেন বিদেশ থেকে আগত সিনেমা জগতের গুণীজনেরা।