মেট্রো যাত্রীদের জন্য ফের সুখবর শোনাল মেট্রো কর্তৃপক্ষ
কলকাতা মেট্রোর যাত্রীদের জন্য সুখবর শোনাল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যা যাত্রীদের মেট্রোর প্রয়োজন সার্বিকভাবে মেটাবে।
কলকাতা : করোনার কারণে ১৭৭ দিন স্তব্ধ থাকার পর অবশেষে কলকাতাবাসীর জন্য পাতালে ছুটেছিল মেট্রো। যদিও ছিল একগুচ্ছ নিয়মবিধি। যা এখনও বজায় রয়েছে। করোনার প্রকোপকে মাথায় রেখে যাতে যাত্রীরা কোনওভাবে সংক্রমিত না হন সেই দিক মাথায় রেখে পদক্ষেপ করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
চালু হলেও মেট্রো কিন্তু রবিবার বন্ধই রাখা হয়েছিল। সপ্তাহে ৬ দিন চলছিল মেট্রো। ফলে রবিবার মেট্রোয় সফরের দরকার পড়লেও উপায় ছিলনা যাত্রীদের। অবশেষে সেই সমস্যাও মিটল।
সোমবার এক বৈঠকের পর মেট্রো কর্তৃপক্ষ রবিবারেও মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে কম সময়ের জন্য চলবে মেট্রো। বেলা ১০টা ১০ থেকে চালু হবে রবিবারের পরিষেবা। এরফলে বহু মানুষের রবিবারে মেট্রো সফরের প্রয়োজন মিটল। যা শহরবাসীর জন্য অবশ্যই খুশির খবর।
কলকাতা মেট্রো আগামী রবিবার ৪ অক্টোবর থেকেই যাত্রা শুরু করছে। তবে কলকাতা মেট্রো রবিবারও পরিষেবা চালু করলেও এখনই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা রবিবারে চালু হচ্ছেনা। ওটা ৬ দিনই চলবে। রবিবার বন্ধ।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অ্যাসিড টেস্টটা সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এর দিন ১৩ সেপ্টেম্বরই হয়ে গিয়েছিল। কেবলমাত্র ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকদের নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেই রবিবার মেট্রোর চাকা ঘুরেছিল। পুরো সময় নির্বিঘ্নেই যাতায়াত করেছিল মেট্রো।
তার পরদিন সোমবার সকাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য মেট্রো চালনা নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্তও হতে পেরেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭৭ দিন পর অবশেষে সাধারণ যাত্রীদের নিয়ে মেট্রো চলে সফলভাবে।
নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে মেট্রোর টিকিট নিয়ে প্রথম দিকে কিছুটা বিরক্ত ছিলেন যাত্রীরা। স্মার্ট কার্ড থাকতে হবে, স্মার্টফোন থাকতে হবে। তবেই মিলবে ই-পাস। সেই ই-পাস কীভাবে অ্যাপ থেকে পাওয়া যাবে তা নিয়ে রীতিমত হিমসিম খেতে হয়েছিল অনেককে। বিশেষত সমস্যায় পড়েন বয়স্করা।
অনেক বয়স্ক মানুষ বা এমন অনেকে আছেন যাঁরা বেসিক ফোন হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেন। ফোন করতে আর ধরতে পারলেই হল। আর প্রয়োজনে খুব বেশি হলে এসএমএস দেখা। এজন্য স্মার্টফোনের দরকার পড়ে না।
কারও যদি স্মার্টফোন থাকেও তাহলেও তিনি অ্যাপ ডাউনলোড করে তা থেকে ই-পাস বুক করার নিয়ম সম্বন্ধে সড়গড় নন। এঁরা বেজায় সমস্যায় পড়েন। পরে অবশ্য মেট্রো কর্তৃপক্ষ সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ই-পাস নিয়ম তুলে নেয়।
ট্রেনে সফরের সময় সিটে ক্রশ চিহ্ন দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে বসা যাবেনা। ফলে ২ যাত্রীর মাঝে একটা ফাঁক থাকছে।
স্যানিটাইজ করা হচ্ছে মেট্রোর কামরা। যাত্রীদের মুখে মাস্ক আবশ্যিক। এছাড়া স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত রয়েছে সব স্টেশনে। হচ্ছে থার্মাল চেকিং।
ওইদিন কলকাতা মেট্রোর পাশাপাশি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হলেও সেখানে অবশ্য ই-পাসের প্রয়োজন নেই।