বুধবার ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ৮টা বাজে। অফিস টাইমের মারাত্মক চাপে রোজকার মতই বাঁশদ্রোণীর মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে উপচে পড়ছিল ভিড়। দমদমগামী মেট্রো গতি কমিয়ে ঢুকছিল স্টেশন চত্বরে। আচমকা উপস্থিত যাত্রীদের হতচকিত করে মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন এক প্রৌঢ়। দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখে তড়িঘড়ি এমারজেন্সি ব্রেক কষেন চালক। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনের চাকা উঠে পড়েছে প্রৌঢ়ের ঘাড়ের উপর।
গুরুতর জখম প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। এদিকে প্রৌঢ়ের আত্মহত্যার চেষ্টায় আধ ঘণ্টার জন্য থমকে যায় নিউ গড়িয়া থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা। টালিগঞ্জ বা মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত পরিষেবা অবশ্য স্বাভাবিক ছিল। অফিস টাইমে প্রৌঢ়ের আত্মহত্যার চেষ্টায় ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। মেট্রোর ভিড় উঠে আসে রাস্তায়। বাস পেতে ভোগান্তির শিকার হন অনেকেই। আধঘণ্টা পর নিউ গড়িয়া থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু হলে অবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।