চাইলে শহরের সর্বত্র নজরদারি সম্ভব নয়। কোথায় কার বাড়ির ছাদে জল জমে আছে, কোথায় কোণায় ফেলে রাখা টায়ারে জল জমে নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠছে ডেঙ্গির লার্ভা, কোথায় কার বাড়ির পিছনে আধা অন্ধকার জায়গায় ছোট ছোট জায়গায় জমা জলে মশা তার বংশ বৃদ্ধি করেই চলেছে, এসব কিছু নজর করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু ‘বিনাশ’ এবার থেকে সবই নজর করবে। তারপর সেই তথাকথিত দুর্গম স্থানে পৌঁছে শেষ করে দেবে মশার নিশ্চিন্ত আঁতুড়। কলকাতা পুরসভা এবার এমনই উদ্যোগ নিচ্ছে।
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন কোণায় প্রতি বছরই বর্ষার সময় প্রকোপ বাড়ায় ডেঙ্গি। যা শীত পর্যন্ত মারাত্মক আকার নিয়ে টিকে থাকে। মৃত্যু হয় মানুষের। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। বহু মানুষ আক্রান্ত। অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গি। যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। এই মারণ ব্যাধি ছড়ায় সাধারণত এডিস মশার লার্ভা থেকে। এছাড়াও মশার হাত ধরে ছড়ায় ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মত ভয়ংকর ব্যাধি। ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, মশার কামান দাগা, ব্লিচিং ছড়ানো এসবের পাশাপাশি এবার কলকাতা পুরসভা নিয়ে এল আধুনিক প্রযুক্তি। ডেঙ্গি নিধনে ব্যবহার করা হবে ড্রোন। যার নাম দেওয়া হয়েছে বিনাশ। এই বিনাশই বিনাশ করবে লুকিয়ে বেড়ে ওঠা মশাদের।
বিনাশ নামে এই ড্রোন ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচুতে উড়তে পারে। এটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় উড়ে বেড়াবে। বাড়ির ছাদ থেকে বিভিন্ন কোণা, কিছুই তার নজর এড়াবেনা। বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনে ছবি তুলবে এটি। সেখানে জমে থাকা জলে লার্ভা দেখলে সেই জলের নমুনাও সংগ্রহ করতে পারবে এই আধুনিক ড্রোন। ড্রোনটিতে থাকছে কৃত্রিম হাতের মত জিনিস। যা এই নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম। এখানেই শেষ নয়, বিনাশ হুটার বাজিয়ে বিভিন্ন জায়গায় হাজির হতে পারে। বুঝতে হবে বিনাশ তখন বিনাশের মুডে আছে। ড্রোন থেকে নির্দিষ্ট মশার আঁতুড়ে ছড়ানো হবে কীটনাশক। তাতে ওখানেই শেষ হবে মশার শত-সহস্র লার্ভা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা