মায়ানমার থেকে ২টি সীমানা পার করে ভারতে ঢুকেছিল সোনা। বাংলাদেশ থেকেও ঢুকেছিল চোরাই সোনা। এই ৩ জায়গা থেকে ঢোকা বিভিন্ন পরিমাণ চোরাই সোনা পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতায়। এখানেই ৩২ জায়গায় আলাদা আলাদা লোকের হাতে ছিল সেই সোনা। গোপন সূত্র মারফত সে খবর পান ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স বা ডিআরআই আধিকারিকরা। আর সেই খবরের ভিত্তিতে ৩ জায়গায় আচমকা হানা দেন তাঁরা। ৩টি হানাতেই আসে সাফল্য। হাতে নাতে পাকড়াও হয় মোট ৬ জন। বাজেয়াপ্ত হয় ১৬ কেজি ৩৪ গ্রাম সোনা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।
একটি হানা হয় সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে। সেখানে উদ্ধার হয় ৩ কেজি ৩২ গ্রাম সোনা। মিজোরাম সীমানা দিয়ে মায়ানমার থেকে ভারতে ঢোকে সেই সোনা। ইসাক নামে ১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। দ্বিতীয় হানা হয় কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। এখান থেকে উদ্ধার হয় ৪ কেজি ৯৮ গ্রাম সোনা। মায়ানমার থেকে মণিপুর সীমানা দিয়ে ভারতে ঢোকে এই চোরাই সোনা। এখানে মহেশ ও রীতা নামে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তৃতীয় হানা হয় কলকাতার বড়বাজার এলাকায়। এখানে উদ্ধার হয় ৮ কেজির কিছু বেশি সোনা। এই সোনা বাংলাদেশ থেকে সীমানা পার করে কলকাতায় পৌঁছয়। এখানে রাজু দত্ত, চিরঞ্জিত দত্ত ও সুমন সাহা নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সীমানা পার করে চোরাই সোনা শহরে পৌঁছনো নতুন নয়। আগেও বিভিন্ন সময়ে ডিআরআই আধিকারিকরা হানা দিয়ে সোনা উদ্ধার করেছেন। ফের এমন ঘটনা ঘটল। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে ৪৩১ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে ডিআরআই।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)