ক্রমশ গন্ধটা তীব্র হচ্ছিল। প্রতিবেশিরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কোথা থেকে আসছে গন্ধটা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। নিউটাউন থানার পুলিশ হাজির হয় ওই বহুতলে। সেখানেই ৪ তলার বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে গন্ধ বার হচ্ছে বলে বুঝতে পেরে সেই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ফেলে পুলিশ। ভিতরে ঢুকতেই গন্ধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। খোঁজ করতে রান্নাঘর থেকে একটি পচন ধরা দেহ উদ্ধার হয়। ওই মৃতদেহ এক চিকিৎসকের বলে জানা গেছে।
ওই ফ্ল্যাটেই ভাড়া থাকতেন চিকিৎসক মায়াঙ্ক বশিষ্ঠ। দিল্লির বাসিন্দা হলেও কলকাতায় গত কয়েকমাস রয়েছেন। নিউটাউনের এই ফ্ল্যাটেই ভাড়া থাকতেন তিনি। যুক্ত ছিলেন উল্টোডাঙার একটি হাসপাতালের সঙ্গে। ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তিনি। যথেষ্ট ফ্যাশন দুরস্ত এই যুবকের মৃত্যু কীভাবে হল তা এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়।
দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই বহুতলের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। কেন মৃত্যু তার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে বহুতলে অনেক পরিবারের বাস। তাঁদের আবাসনে এমন এক ঘটনায় অনেকেই বিরক্ত। ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এটা কী শারীরিক কারণে মৃত্যু, নাকি এর পিছনে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।