শুক্রবারের পর শনিবারও একইভাবে ঝড় বৃষ্টির কবলে শহর কলকাতা সহ আশপাশের জেলা। গত শুক্রবারও পূর্বাভাস ছিল। মিল গিয়েছিল সেই পূর্বাভাস। হয়েছিল কালবৈশাখী। শনিবার সন্ধেতেও ঝড় ধেয়ে আসছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। আর তা অক্ষরে অক্ষরে মিলেও গিয়েছে। শনিবার বিকেলেও আকাশ ছিল পরিস্কার। কিন্তু সন্ধের পর আচমকাই ঠান্ডা হাওয়া দিয়ে ঝড় বইতে শুরু করে। ঝড়ের ধাক্কা অবশ্য শুক্রবার অনেক বেশি ছিল। শনিবার ঝড় হয়েছে কম সময়। তারপরই বৃষ্টি নামে। বহু মানুষ রাস্তার ধারে দোকানের মধ্যে বা ছাউনির তলায় আশ্রয় নেন। ভিড়ে ঠাসা ছিল বিভিন্ন বাস স্টপেজের যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলিও।
যেহেতু ঝড় কম হয়েছে তাই এদিন বৃষ্টিটা যেন একটু বেশিই পেল শহর থেকে জেলা। বৃষ্টি শুরু হল সন্ধে থেকে। ঝেঁপে বৃষ্টি প্রায় ২০-২৫ মিনিট চলার পর কিছুটা ধরে যায়। আটকে পড়া মানুষ ছাউনির তলা ছেড়ে বেরিয়ে টিপটিপ বৃষ্টিতেই গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ এমন থাকার পরই ফের শুরু হয় বৃষ্টি। এদিন দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে শহরে ও আশপাশের জেলাগুলিতে। বৃষ্টি চলেছে রাত পর্যন্ত।
শনিবার অনেকের ছুটি থাকে। তাঁদের উইকএন্ড শুরু হয় যায় শুক্রবার রাত থেকেই। আর যাঁরা শনিবারও অফিস করেন তাঁদের রবিবার ছুটি। ফলে শনিবারের সন্ধেয় এমন এক তোফা ঝড় বৃষ্টিতে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। শরীর-মন ঠান্ডা হয়ে যায়। দিনভরের ক্লান্তি যেন নিমেষে উধাও। রাস্তায় থাকা মানুষজন সমস্যায় পড়লেও তাঁরাও একবার বাড়ি ঢুকে যাওয়ার পর মেজাজেই কাটিয়েছেন। ছুটির আগের রাতে তোফা ঘুমটা নিশ্চিন্ত হয়েছে অনেকের। চৈত্র, বৈশাখ মানেই কালবৈশাখী। সময়ের চাহিদা মেনে সেই কালবৈশাখী কিন্তু সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়েই ঋতুর সঙ্গে চলছে। এদিন শহরের পাশাপাশি কলকাতার আশপাশের জেলাগুলিতেও যথেষ্ট ঝড় বৃষ্টি হয়েছে।