মঙ্গলবার দিনভর ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হয়েছেন শহরবাসী। কাজ তো করতেই হবে। তাই রাস্তায় বার হতেই হবে। প্রবল ভ্যাপসা গরমে তাই বহু মানুষ এদিন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কখনও মাথার ওপর আগুন ঢেলেছে সূর্য, কখনও কিছুটা মেঘ। তবু গরম কমেনি। সারাদিনের সেই গরমের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে শহরবাসীকে অবশেষে মুক্তি দিল বিকেলের কালবৈশাখী। সঙ্গে বৃষ্টি। এদিন বিকেল গড়াতেই হঠাৎ ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। সঙ্গে ঝড়। একাধিক ঝড় এদিন আছড়ে পড়ে শহরে। সামান্য সময়ের সেই ঝড়েই রাস্তায় ধুলোর কুণ্ডলী ওঠে।
প্রবল ঝড়ের হাত ধরেই শুরু হয় বজ্রের ঝলকানি। আর বাজ পড়ার আওয়াজ। ঝড়ের মধ্যে পড়ে তখন এদিক ওদিক ছুটে আশ্রয় খুঁজছেন অফিস ফেরত থেকে পথ চলতি মানুষজন। অনেক দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে দেন দোকানিরা। বাড়িতে শুরু হয় দরজা জানালা বন্ধের পালা। এরমধ্যেই ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। এদিন কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। তবে শনিবারের মত দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি বৃষ্টি।
প্রবল বৃষ্টি হলেও কম বৃষ্টিতে ঠান্ডা খুব একটা হয়নি। বরং মাটি থেকে গরম উঠেছেই বেশি। যদিও বৃষ্টির পর বাইরে হাওয়া ছিল। ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব ছিল। যা এই গরমের দিনের সন্ধেটাকে মনোরম করার জন্য যথেষ্ট ছিল। কাজ শেষের বিকেলে এমন একটা ঝড়বৃষ্টি চৈত্র, বৈশাখ মাসে দিনভরের কষ্টে অনেকটাই প্রলেপ দেয়। যা এদিনও উপভোগ করলেন শহরবাসী।