এ যেন এক ভয়ংকর অরাজকতা। অমিত শাহ-র রোড শো ঘিরে বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রাবাসে যে রক্তক্ষয়ী অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হল তার জন্য কিছুটা দায় বোধহয় পুলিশকেও নিতে হবে। যতটা সাফল্যের সঙ্গে পুলিশ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অশান্তিকে পুরো সময় ঠেকিয়ে রাখল তা কিন্তু বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রাবাসের সামনে হল না। এখানে যখন তুলকালাম চলছে তখন কিন্তু পুলিশের সেভাবে দেখা মেলেনি। বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রাবাসটি ট্রাম লাইনের ওপর। তার সামনে দিয়েই অমিত শাহ-র গাড়ি এগিয়ে যায় সিমলা স্ট্রিটের দিকে। আর তা পাস করতেই শুরু হয় তুলকালাম।
বিজেপির অভিযোগ রোড শো লক্ষ্য করে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে উড়ে আসে ইট, কাঠের চেলা। অন্যদিকে বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রদের দাবি তাঁরা নন, বিজেপিকর্মীরাই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাঁদের কলেজে আক্রমণ চালান। আক্রমণ হয় কলেজের ছাত্রাবাসে ও ক্যাম্পাসে। ভেঙে ফেলা হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তি। যা টুকরো টুকরো হয়ে ভূলুণ্ঠিত অবস্থায় পড়েছিল দীর্ঘক্ষণ। একজন মনীষীর আবক্ষ মূর্তির এমন অবমাননা সত্যিই লজ্জা দিয়েছে। ভাঙচুর হয় কলেজে ও হস্টেলে। বাইক ও সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপিকর্মীরাই একাজ করেন বলে দাবি করেছেন বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্ররা। যদিও বিজেপির দাবি তাদের কর্মীদের ইট ছুঁড়ে প্ররোচিত করা হয়।
এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। একজনের মাথা ফেটেছে। ছোটখাটো চোট লেগেছে কয়েকজনের। এরপর ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। তারা লাঠিচার্জ করে এলাকা ফাঁকা করা শুরু করে। এলাকা ফাঁকাও হয়ে যায়। কিন্তু তার আগেই যা হওয়ার হয়ে গেছে। আতঙ্কে এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।