উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৮ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করল ২ ছাত্র। একজন কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের ছাত্র রাজর্ষি বর্মণ ও দ্বিতীয়জন বীরভূম জেলা স্কুলের শোভন মণ্ডল। শতাংশের হিসাবে তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৬ শতাংশ। ২০১৯ উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ১৬ হাজার ২৪৩ জন।
এবার পাশের হার ৮৬.২৯ শতাংশ। গতবারের চেয়ে এবারের হার ৩ শতাংশ বেশি। যারমধ্যে ছেলেদের পাশের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৮৫.৩০ শতাংশ। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১৩ মার্চ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৩ দিনের মাথায় ফলাফল বার করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এবার প্রথম ১০-এ অর্থাৎ মেধা তালিকায় জায়গা হয়েছে ১৩৭ জন ছাত্রছাত্রীর। যা উচ্চমাধ্যমিকের ইতিহাসে রেকর্ড। এত বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আগে কখনও প্রথম দশে জায়গা করে নিতে পারেনি। প্রথম স্থান অধিকার করেছে ২ জন ছাত্র। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৬ জন। প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। শতাংশের হিসাবে ৯৯.২ শতাংশ।
এই ৬ জনের মধ্যে একজন ছাত্রী জায়গা পেয়েছে। বিধাননগর গভর্নমেন্ট স্কুলের সংযুক্তা বসু। মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থানও দখল করেছে সংযুক্তা। উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৪ জন পড়ুয়া। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। শতাংশের হিসাবে ৯৮.৮ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ৬ জন পড়ুয়া। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। শতাংশের হিসাবে ৯৮.৪ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ১৪ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। শতাংশের হিসাবে ৯৮.২ শতাংশ নম্বর অর্জন করেছে তারা। এবার প্রথম ১০ জনে জায়গা করা ১৩৭ জনের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৩৫।
কলা বিভাগ থেকে গতবার প্রথম স্থান অধিকার করেছিল গ্রন্থন সেনগুপ্ত। সেই প্রথম দেখিয়েছিল উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেও প্রথম স্থান দখল করা যায়। এবার কলা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে রাকেশ দে। বীরভূমের সাঁইথিয়া টাউন স্কুলের ছাত্র রাকেশ সার্বিকভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। অন্যদিকে বাণিজ্য বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ২ জন। কমল সাহা ও কোমল সিং। কমল জ্ঞানভারতী বিদ্যাপীঠ ও কোমল ন্যাশনাল হাইস্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। ২ জনেই দশম স্থান অধিকার করেছে।