বুধবার দুপুরে আচমকাই আগুন লেগে যায় পার্ক সার্কাসের রাইফেল রেঞ্জ রোডের বাঁশের গোলায়। এখানে একাধিক বাঁশের গোলা রয়েছে। রয়েছে প্লাইউডের গুদাম। রয়েছে প্রচুর মজুত কাঠ। সবই দাহ্য পদার্থ। তারমধ্যে প্রবল গরম। চারধার শুকনো। সব মিলিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আদর্শ পরিস্থিতি। আর তার জেরেই হুহু করে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একের পর এক বাঁশের গোলা আগুনের গ্রাসে চলে যেতে থাকে। তারমধ্যে ফট ফট করে ফাটতে থাকে শুকনো বাঁশ। আগুনের লেলিহান শিখা অনেক উঁচু পর্যন্ত উঠতে থাকে। গনগনে আগুন চারধারের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায় আশপাশের আকাশ।
আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয় দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। অপরিসর রাস্তা হওয়ায় আগুন নেভাতে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রথম দিকে যে পরিস্থিতি ছিল তাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে তা আরও চারধারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আগুনকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা চালাতে থাকেন দমকলকর্মীরা। সাধ্য মত হাত লাগান স্থানীয়রাও।
প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কোথাও কোথাও ছাই চাপা আগুন ছিল। টিনের পাত বা পোড়া বাঁশ সরাতে গেলে অনেক জায়গাতেই আগুন ধক করে জ্বলে ওঠে। তবে বিকেল ৩টের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আর ছিলনা। দমকলকর্মীরা কুলিং প্রসেস চালু করেন। যা দীর্ঘক্ষণ চলে। এরমধ্যেই পোড়া গুদাম থেকে যে টুকু বেঁচেছে সেটুকু মাল বাইরে বার করার চেষ্টা শুরু করেন স্থানীয়রা। আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা।
আগুন যখন দাউদাউ করে জ্বলছে তখন আশপাশের বিদ্যুতের খুঁটি থেকে গাছ সবই পুড়েছে। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ হয়েছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল। ফলে দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। দুপুর হওয়ায় যাত্রীর চাপ কম ছিল। অফিস টাইমে হলে দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন কিন্তু মানুষের সমস্যা চরমে তুলত।