জুন পড়ে গেছে। কিন্তু পয়লা জুন জ্যৈষ্ঠের প্রবল গরম আর আর্দ্রতায় নাজেহাল হতে হয়েছে শহরবাসীকে। অবশেষে রাতের দিকে কিছুটা ঠান্ডা হওয়া বইতে শুরু করে। রবিবার সকালে একটু দেরিতেই ঘুম ভাঙে বাঙালির। ঘুম থেকে উঠে অনেকেই দেখেন রোদ আর মেঘের খেলা শুরু হয়েছে। এমনটা গত কয়েকদিনে দেখা যায়নি। গনগনে আগুনের মত রোদ সকাল থেকেই নিংড়ে দিয়েছে শরীর। বেলা বাড়তেই শহরে মেঘের সঞ্চার হতে শুরু করে। ক্রমশ সেই মেঘ ঘন হতে থাকে। দুপুরে কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। বজ্র নির্ঘোষ জানান দেয় বৃষ্টি আসছে। আর তারপরই ঝমঝম করে নামে বৃষ্টি।
রবিবার দুপুরে এমন আমেজি বৃষ্টি রীতিমত মন ভাল করে দেয় প্রবল গরমে নাজেহাল মানুষের। এদিন শুধু কলকাতা বলেই নয়, তার আশপাশের জেলাগুলিতেও ভাল বৃষ্টি হয়েছে। অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টি হয়েছে এমনটা নয়। তবে যেটুকু হয়েছে ঝেঁপেই হয়েছে। ফলে পারদ এদিন অনেকটাই দুপুরের পর পড়ে যায়। সঙ্গে ছিল ঠান্ডা হাওয়া। এদিন বৃষ্টি হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, এমনকি দার্জিলিংয়েও।
বর্ষা আসতে এখনও কিছুদিনের অপেক্ষা। কারণ এবার কেরালাতেই বর্ষা ঢুকছে দেরিতে। ৬ জুন কেরালায় বর্ষার প্রবেশের কথা। তারপর সারা দেশেই বর্ষা ছড়িয়ে পড়বে। তবে কী এদিনের বৃষ্টি প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে এদিন দুপুরের পর সন্ধের দিকে, এমনকি আগামিকালও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন দুপুরে বৃষ্টির পর রোদ উঠে গেলেও সেই জ্যৈষ্ঠের কষ্টটা ছিলনা।