জগন্নাথ ঘাট। গঙ্গার ধারের এই ঘাটের ধারেই রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন গোডাউন। সেই গোডাউনে এখন রাসায়নিক মজুত রাখা হয়। সেখানেই মাঝরাতে আগুন লেগে গেল। রাসায়নিক মজুত থাকায় যা হওয়ার তাই হয়েছে। হুহু করে আগুন ছড়াতে থাকে। রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা তখন ঘুমে কাতর। সেই অবস্থায় আগুনের তাপে তাঁরা একে একে হটে আসেন। হাজির হয় দমকলের একটি একটি করে ইঞ্জিন।
আগুনের গনগনে লেলিহান শিখা তখন রাতের কালো আকাশের বুক চিরে ঠিকরে বার হচ্ছে। চারদিকে শুধুই আগুন। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু দমকলের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সকালের আলো ফোটার পরও মুশকিল অবস্থায়। সহজে আগুন নেভার নয়। প্রচুর রাসায়নিক থাকায় আগুনের জ্বালানির অভাব হচ্ছেনা। ফলে তা জ্বলে চলেছে। যদিও আগুনকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলতে সমর্থ হয়েছে দমকলবাহিনী।
আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ভোরেই সেখানে ছুটে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনিও দমকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। দমকলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও হাজির হন। যদিও সকাল পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। তবে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা। তবে প্রাথমিক অনুমান আশপাশের ঝুপড়ি থেকে আগুন ছড়িয়ে থাকতে পারে। আগুন লাগার সঠিক কারণ তদন্ত সাপেক্ষ। তবে তার আগে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার।