জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সিনিয়ররাও। প্রথম থেকেই তাঁদের নৈতিক সমর্থন ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর বিকেল থেকে হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টায় উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ করে ইস্তফার পথে হাঁটেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকেরা। বিক্ষোভরত ছাত্রদের পাশে থাকার বার্তাও দেন তাঁরা। আর সেই একই বার্তা দিয়ে শুক্রবার হিড়িক পড়ে গেল চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার।
শুক্রবার আর জি কর হাসপাতালের ৭০ জন চিকিৎসক সই করে গণ ইস্তফা দেন। এরপর চিত্তরঞ্জন হাসপাতালের ১৭ জন চিকিৎসক, এসএসকেএম হাসপাতালের ১৭৫ জন চিকিৎসক, এনআরএস হাসপাতালের ১০০ জন চিকিৎসক ইস্তফার রাস্তায় হাঁটেন। একইভাবে ইস্তফা দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং সিউড়ি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল আকার দিল।
গণ ইস্তফার জেরে এখন হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত লাটে উঠেছে। যা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ফেলেছে রোগীদের। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলকেই এই জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রবল যন্ত্রণা নিয়ে কাতরাচ্ছেন সন্তানসম্ভবা। বহু রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরছেন। অনেকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েই চলেছে। যা রাজ্যের সার্বিক চিকিৎসা পরিষেবাকেই ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে এনে ফেলেছে।