সারাদিন পুড়েছে গোটা শহরটা। মানুষ গরমে জ্বলেছেন। ঘামে ভিজেছেন। রাস্তায় টেকা কার্যতই অসম্ভব মনে হয়েছে বেশিক্ষণ। হবে নাই বা কেন! দিনটাই তো মরসুমের উষ্ণতম দিন। ফলে গরমে তো নাজেহাল হতেই হত। এমন গরম চলবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এমনই এক গরমে যখন প্রাণান্তকর পরিস্থিতি মানুষজনের, ঠিক তখনই সন্ধের পর আকাশ জুড়ে মেঘের ঘনঘটা। গুড়গুড় করতে শুরু করল আকাশ। ঝলকে উঠল বজ্র। আর তারপরই নামল ঝমঝম করে বৃষ্টি।
টানা যে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি হয়েছে এমনটা নয়। তবে যেটুকু হয়েছে তাতে সামান্য হলেও গরম থেকে রেহাই দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। প্রবল গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলেছে। রাস্তা ভিজেছে। হাল্কা ঠান্ডা বাতাসও শরীরে লেগেছে। এটাই এখন অনেক পাওনা শহরবাসীর কাছে। যে নাজেহাল অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে এমন কটা ফোঁটা বৃষ্টির জন্যও চাতকের মত অপেক্ষায় ছিলেন সকলে।
শুক্রবার সন্ধের বৃষ্টিতে অনেককেই দেখা গেছে রাস্তায় নেমে পড়তে। ঝেঁপে বৃষ্টি খুব বেশি হলে হয়েছে ১০ মিনিট। সেটুকু বৃষ্টিই তারিয়ে উপভোগ করেছেন অনেকে। ভিজেছেন প্রাণ ভরে। তবে এই বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। কারণ গরম থেকে এখনই রেহাই মিলছে না। আগামী ২-৩ দিন মন গরম চলবে। তবু তার মাঝেই শুক্রবারের সন্ধের বৃষ্টি প্রাণ জুড়ল শহরবাসীর। এটাই বা কম কি!