Kolkata

ফের রবিনসন কাণ্ডের ছায়া, বৃদ্ধার মৃত্যুর খবরই জানাল না পরিবার

কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনা দিয়ে যে প্রবণতা সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ জেনেছিলেন, কিছু মানুষের সেই প্রবণতা কিন্তু থেকেই গেছে। ফের সেই একই ধরণের কাণ্ডের খবর মিলল দক্ষিণ কলকাতার সরশুনায়। সরশুনার রাখাল মুখার্জী রোডে একটি ফ্ল্যাটে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বাস। ছেলের মৃত্যুর পর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও তাঁদের মেয়ে থাকতেন। রবিবার সেই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বার হতে থাকে। যে গন্ধে প্রতিবেশিদের টেকা দায় হয়। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেখে ওই ফ্ল্যাটে ৮২ বছরের বৃদ্ধার দেহ পড়ে আছে। তাঁর দেহে পচন ধরেছে। আর সেখান থেকেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুলিশ জানাচ্ছে ২-৩ দিন আগেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বাড়ির লোকজন সে খবর কাউকে জানাননি। আবার দেহ পচে দুর্গন্ধ যাতে ছড়িয়ে না পরে সেজন্য ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

প্রতিবেশিরা জানাচ্ছেন, ৮২ বছরের বৃদ্ধা ছায়া চট্টোপাধ্যায় তাঁর স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। তাঁদের ছেলে দেবাশিস ৫৭ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। তখনও ওই পরিবার দেহ ঘরেই ফেলে রেখেছিল। কাউকে কোনও খবর দেয়নি। এবারও ছায়াদেবীর মৃত্যুর পর তাই করল তারা। ছেলের মৃত্যুর পর প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথাবার্তা প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিল চট্টোপাধ্যায় পরিবার।


পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ছায়াদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে পাড়ায় এমন একটা ঘটনা ঘিরে এলাকায় রবিবার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ছায়াদেবীর স্বামী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কেন তাঁরা এমন করে থাকেন সে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button