অবশেষে বৃষ্টি নামল। হয়তো আষাঢ়ের শেষে দাঁড়িয়ে যতটা হওয়ার ছিল ততটা হল না। তবে বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ কালো করে গুড়গুড় মেঘ ডেকে বৃষ্টি হয়েছে। ঠান্ডা হওয়া বয়েছে। কিছুটা হলেও প্রাণ জুড়িয়েছে শহরবাসীর। এই বৃষ্টিটুকুও বর্ষার মাঝে পৌঁছে শিকেয় ছেঁড়েনি তাঁদের। বরং প্রবল গরম আর সেইসঙ্গে ভ্যাপসা গরম থেকে প্রবল গাম। এই ছিল গত কয়েকদিনের সঙ্গী। অন্তত সেই পরিস্থিতি কিছুটা হলেও মঙ্গলবার দুপুরে বদলায়।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই। সেই পূর্বাভাস মিলেও গেছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ধরেছে গত সোমবার থেকে। তারপরই সোমবার হাওয়া অফিস জানিয়েছিল আগামী ৪৮ ঘণ্টার বিশাল না হলেও বৃষ্টি পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। মঙ্গলবারই তা চাক্ষুষ করেছেন শহরবাসী। আকাশ বেলা বাড়লেই মেঘে ছেয়ে যায়। তারপর নামে বৃষ্টি। কোথাও বেশি কোথাও কম। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির আগে একটা ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়াও বয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে যে গরমটা নাজেহাল করছিল মানুষকে তা কিন্তু দুপুরের বৃষ্টির পর অনেকটাই কমে যায়। বর্ষায় মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হতে থাকায় গরমে অনেকটা লাগাম পরে। মাটি ঠান্ডা থাকে। একটা ভেজা অনুভূতি থাকে। ফলে গরমটা টের পাওয়া যায়না। কিন্তু এবার বৃষ্টি অতিরিক্ত মাত্রায় কম হওয়ায় সেই যে গ্রীষ্ম থেকে গরম জাঁকিয়ে বসেছে তা এখনও অব্যাহত। এখন এদিনের বৃষ্টির হাত ধরে বর্ষা যদি জাঁকিয়ে বসে তবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটা কমবে।