নেতাজি নগরে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। একাই থাকতেন। স্বামী দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৮০ বছর। স্ত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ের বয়স ৭২। বাড়িতে ছিল কাজের লোক। এক ব্যক্তি বৃদ্ধকে হাঁটাতে আসতেন। প্রতিবেশিরা দম্পতিকে রাস্তায় হাঁটতে দেখতেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিবেশি হিসাবে কথাও হত। ওই দম্পতির সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন মঙ্গলবার সকালে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে।
ভিতরে সিঁড়ির ধার থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়। বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হয় দোতলার ঘর থেকে। কীভাবে খুন, কেন তাঁদের খুন করা হল তা খুব পরিস্কার না হলেও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান লুঠের জন্য খুন হতে পারে। তবে স্থানীয়দের কয়েকজনের দাবি ওই দম্পতির ওপর প্রোমোটারদের চাপ ছিল। কাজের লোকজনও পুলিশের কাছে জানিয়েছেন সেকথা। প্রোমোটাররা ওই নিঃসন্তান দম্পতির বিশাল বাড়িটি দখলের চেষ্টা করছিল। সেজন্য চাপও আসত তাঁদের ওপর। তবে খুনের পিছনে এই কারণ কোনওভাবে জড়িত কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিন দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন জয়েন্ট কমিশনার ক্রাইম মুরলীধর শর্মা। এছাড়াও পুলিশ আধিকারিকরা হাজির হন। হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা হাজির হন। আনা হয় পুলিশ কুকুরও। বাড়িতে এক পরিচারিকা কাজ করতেন। এছাড়া একজন ওই বৃদ্ধকে হাঁটাতে আসতেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বহু আশপাশের মানুষ ভিড় জমান বাড়ির সামনে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।