কলকাতার যে কয়েকটি জলাশয়ে সাঁতার প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত বহুকাল ধরে চলে আসছে তার মধ্যে কলেজ স্কোয়ার অন্যতম। এখানে একাধিক সাঁতার প্রশিক্ষণ ক্লাব রয়েছে। বহু ছেলেমেয়ে এখানে সাঁতার শেখে। সেখানেই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। সাঁতার ভাল করে না জেনেই ডুবোন জলে সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। ১৭ বছরের ওই কিশোর যে জলে ডুবে যাচ্ছে তা জানতেও পারলেননা আশপাশে থাকা প্রশিক্ষকরা। মৃতের নাম মহম্মদ শাহবাজ।
কলেজ স্কোয়ারে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালে পাকা সাঁতারু কাজল দত্ত জলের তলায় তৈরি স্ট্রাকচারে আটকে গিয়ে মারা যান। তাঁর ডুব দিয়ে চিংড়ি মাছ ধরার শখ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা কাজল দত্তের মৃত্যু হৈহৈ ফেলে দিয়েছিল। তাঁর দেহ খুঁজে পেতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ চালিয়ে অবশেষে পাওয়া যায় কাজলবাবুর দেহ। সেই ঘটনার পর ২ বছরে এমন অঘটন ঘটেনি। ফের ঘটল গত রবিবার।
মহম্মদ শাহবাজ যখন ডুবে যায় তখনও জলে অনেকেই ছিলেন। তবু সকলের নজর এড়াল কিশোরের এই মর্মান্তিক পরিণতি। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কারও গাফিলতি রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার বিভিন্ন জলাশয় যেমন হেদুয়া, কলেজ স্কোয়ার, রবীন্দ্র সরোবর সহ অনেক জায়গায় সাঁতার শেখানো হয়। সেখানে সাঁতার শিখতে আসে কচিকাঁচারা। সেখানে সুরক্ষা বন্দোবস্ত কী ঠিকঠাক? কেন বিভিন্ন সময়ে এমন ডুবে যাওয়ার ঘটনা নজরে আসে? কোথায় ফাঁক? পুরো বিষয়টি নিয়ে কিন্তু ভাবনাচিন্তার সময় এসেছে।