বৃষ্টির রাত যাকে বলে ঠিক তাই। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে শহর। তায় আবার রাত প্রায় ২টো। ফলে সুনসান চতুর্দিক। কেবল ঝমঝম করে বৃষ্টির শব্দ। শনিবারের সেই নিঝুম রাতে শেক্সপিয়র সরণী ধরে কলা মন্দিরের দিকে ছুটে যাচ্ছিল দুরন্ত গতির একটি জাগুয়ার গাড়ি। সেই সময় ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থল পার করার সময়ও গাড়িটি এতটুকু গতি কমায়নি।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা সিগনাল না মেনেই গাড়িটি সংযোগকারী রাস্তা পার করতে যায়। সেই সময় ক্যামাক স্ট্রিট ধরে আসা একটি মার্সিডিজ গাড়িতে সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে জাগুয়ারটি। পাশ থেকে ধাক্কা খায় মার্সিডিজ গাড়িটি। এসব গাড়িতে এয়ার ব্যাগ থাকে। সেগুলি খুলে যায়। ফলে মার্সিডিজের আরোহীরা প্রাণে বেঁচে যান। তবে আঘাত পান। এদিকে ধাক্কা মারার পরই জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
এই সময় ওই সংযোগস্থলের কাছের পুলিশ কিয়স্কের তলায় দাঁড়িয়েছিলেন এক যুবক ও এক যুবতী। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে হয়তো কিয়স্কের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারানো জাগুয়ার সোজা গিয়ে পিষে দেয় তাঁদের। তারপর কিয়স্ক ভেঙে দেয়। চুরমার হয়ে যায় জাগুয়ারের সামনের অংশ। অন্যদিকে বৃষ্টিভেজা রাতের শহরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবক, যুবতীর। পুলিশ জানাচ্ছে মৃত ২ জনই বাংলাদেশের বাসিন্দা।
জাগুয়ারটি যেখানে দুর্ঘটনা ঘটায় তার কাছেই শেক্সপিয়র থানা। সেখান থেকে পুলিশ হাজির হয় ঘটনাস্থলে। কিন্তু তার আগেই গাড়ি ফেলে পালায় চালক। তার খোঁজ চলছে। তবে শনিবার বেলা পর্যন্ত তার নাগাল পায়নি পুলিশ। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে। বৃষ্টি ভেজা শনিবারের সকালে এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমত উত্তেজনা ছড়ায়। বহু কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমান সেখানে।