গত শুক্রবার রাতে একটা ফোন আসে পুলিশের কাছে। চায়না টাউনের বাসিন্দা বাপি দে নামে এক ব্যক্তি পুলিশকে ফোন করেন। সেই ফোন পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয় পুলিশ। দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন চিনা বংশোদ্ভূত এক মহিলা ও এক বৃদ্ধ। ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁদের খুন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। প্রথমে ওই মহিলার স্বামী লি ওয়ান থো-কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। প্রথমে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের দীর্ঘ জেরায় অবশেষে থো স্বীকার করে যে সেই তারা স্ত্রী ও বাবাকে হত্যা করেছে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে কলকাতার ট্যাংরা এলাকার চায়না টাউনে হাজির হয়ে পুলিশ ২টি দেহ উদ্ধার করে। পরে সেগুলিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, থো-এর সঙ্গে অন্য এক মহিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেকথা জানতে পারেন তার স্ত্রী লি হোউ মেইহা। স্ত্রী বিষয়টি জানার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তলানি গিয়ে ঠেকে। দাম্পত্য অশান্তি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।
শুক্রবার এমনই কিছু বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয় থো ও লি-র মধ্যে। ঝগড়ার মাঝে একটি ভারী লোহার বালতি তুলে স্ত্রীর মুখে আঘাত করে থো। তারপর আঘাত করতেই থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন লি। এদিকে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে থো-এর বাবা বেরিয়ে আসেন ঘর থেকে। তখন তাঁকেও বালতি দিয়ে আঘাত করে থো। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধ লুটিয়ে পড়েন। তারপরই সেখান থেকে চম্পট দেয় থো।
পুলিশ জানাচ্ছে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে থো প্রথমে বাড়িটি ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। যেন সে বাইরে ছিল। বাড়ি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তারপর স্ত্রীর মোবাইলে বার কতক ফোন করে। যাতে এটা মনে হয় যে সে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্ত্রী ফোন ধরেননি। কিন্তু এসব বলে প্রথম দিকে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।