ভারতে জেএমবি-র শীর্ষ নেতা ইজাজ আহমেদকে পাকড়াও করে দেশে সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা ইজাজকে বিহারের গয়া থেকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাকে নিয়ে কলকাতায় ফেরেন এসটিএফ-এর আধিকারিকরা। পরে তাকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুখ্যাত জঙ্গি ইজাজের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশ ইজাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতে জেএমবি-র কার্যকলাপ সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করবে।
৩০ বছরের এই ইজাজই ছিল জেএমবির ভারতীয় শাখার প্রধান। সেইসঙ্গে সেই ছিল ভারতে জেএমবি-র সদস্য বাড়ানোর মূল দায়িত্ব প্রাপ্ত। জেমবি-র প্রধান কৌসরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ধৃত ইজাজ আহমেদের। ইজাজ আসলে বীরভূমের বাসিন্দা। এখন সে বিহারে গা ঢাকা দিয়ে ছিল। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম চক্রী ছিল সে। আর এক চক্রী সালাউদ্দিনের সঙ্গেই সে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত। তাকে দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ।
নানা নাম নিয়ে লুকিয়ে থাকার অভ্যাস ছিল ইজাজের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইজাজ আহমেদকে পাকড়াও করতে বিহারের গয়া জেলার বুনিয়াদপুরের পাঠানটোলি গ্রামে পৌঁছন পুলিশের আধিকারিকরা। সেখান থেকে ইজাজকে সোমবার ভোরে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানাচ্ছে, ইজাজ জেএমবি-র সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের একাধিক কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ২০০৮ সালে সে জেএমবি-তে যোগ দেয়। বর্তমানে সে তার পরিবার নিয়ে বিহারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিল। অবশেষে তার নাগাল পেল পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা