খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৯ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। তারা আদালতকে জানিয়েছিল তাদের এই ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন সাজা তাই তাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই কমেছে। স্বীকার করে নেওয়ায় তারা কম সাজা পেয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে যাওয়ার একটা সুযোগ পেল শুক্রবার। সেই সুযোগ তাদের দিল আদালত। কার্যত দোষ কবুল করার সদর্থক দিকের সুযোগ উপভোগ করল তারা। সর্বোচ্চ সাজা হল ১০ বছরের। তাও ১৯ জনের মধ্যে মাত্র ৬ জনের। বাকিদের তার চেয়েও কম।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ কাণ্ডে যে ১৯ জন নিজেদের দোষ কবুল করে তাদের মধ্যে ২ মহিলাও রয়েছে। তাদের সঙ্গে তাদের সন্তানরাও ছিল। এদিন আদালতেও তারা হাজির ছিল। সেই আলিমা বিবি ও গুলশনারা বিবির ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। তাদের সঙ্গে সহিদুল ইসলামও ৬ বছরের কারাবাসের সাজা পেয়েছে। এর বাইরে ১০ জন ৮ বছর কারাদণ্ড ও ৬ জন ১০ বছর কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছে।
১৯ জনের সাজার পরিমাণ ভিন্ন হলেও তাদের জরিমানার অঙ্ক একই হয়েছে। সকলকেই কারাবাসের সঙ্গে সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। না দিতে পারলে আরও অতিরিক্ত ১ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া যারা ৫ বছর পর্যন্ত হাজতবাস ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে তারা বাকি বছরটুকু সম্পূর্ণ করলেই হবে। বিচারক এদিন নির্দেশ দেন বাংলাদেশের যে ৪ জন এই ১৯ জনের মধ্যে রয়েছে তাদের সাজা শেষ হলে তাদের যেন বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।