বেঙ্গল এলিজেবল কলেজ এন্ড ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বেকুটা-র প্রত্যেক সদস্যেরই ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতামান রয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্ট্রাকচুয়াল হোল টাইম টিচার বা পার্ট টাইম টিচার হিসাবে কর্মরত। এঁদের পদটি স্থায়ী। কিন্তু এঁরা স্কেলে মাইনে পাননা। নির্দিষ্ট অর্থ পারিশ্রমিক বাবদ পেয়ে থাকেন তাঁরা। এই পারিশ্রমিক কিছুটা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এর কোনও নির্দেশনামাও জারি হয়নি। গত ১৯ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীই আর্থিক সুবিধা দানের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তারপর তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না কিছু ছাত্রছাত্রীর কারণে বলে দাবি বেকুটা-র।
এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারের কাছে তাঁদের অনুরোধ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বেকুটা। বেকুটা-র রাজ্য সভাপতি বিপ্লব মণ্ডল জানিয়েছেন, গেস্ট লেকচারারদের তাঁদের মত সিডব্লিউটিটি বা পিটিটি-দের সমতুল করা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীর। যাঁরা এমফিল বা স্নাতকোত্তর পড়ার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের দাবি, এতে তাঁরা যাঁরা পড়াশোনা করে আগামী দিনে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে চাইছেন তাঁদের সুযোগ কমবে। যা নিয়ে তাঁরা আন্দোলনে। গেস্ট লেকচারারদের সিডব্লিউটিটি বা পিটিটি-দের সমতুল করা বা তাঁদের সমান পারিশ্রমিকের বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলনে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সিডব্লিউটিটি বা পিটিটি-দের।
বিপ্লববাবুর দাবি, ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জেরে আটকে যাচ্ছে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা আর্থিক সুযোগ সুবিধা। তাঁরা চাইছেন এ বিষয়ে একটু নজর দিক রাজ্য সরকার। যাতে তাঁরা এই সুবিধা যত দ্রুত সম্ভব পেতে পারেন। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ রয়েছে বেকুটা-র। তাঁদের দাবি, এসব আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। কুৎসা রটাচ্ছেন। আপাতত তাঁদের আর্থিক সুবিধা যেন তাঁরা দ্রুত পেতে পারেন সেজন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন বেকুটা-র সদস্যরা।