বউবাজারের বিভিন্ন বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ এখনও চলছে। বুধবারও ২০টি বাড়িকে সংকটজনক বলে চিহ্নিত করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। এভাবে বিভিন্ন বাড়ি ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। বাসিন্দাদের স্থান হচ্ছে বিভিন্ন কাছেপিঠের হোটেলে। বুধবার স্যাকরা পাড়া লেনের একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও সেখানে কোনও বাসিন্দা না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গত মঙ্গলবার দুর্গা পিতুরি লেনের একটি বাড়িও ভেঙে গিয়েছে।
টানেলে আপাতত মেট্রোর কাজ বন্ধ। বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনে অবস্থা সামাল দেওয়ার কাজ চলছে। জল ঢোকাটা বন্ধ করাই এখন মেট্রোর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কাজ বন্ধ হলেও বউবাজার এলাকায় আতঙ্ক কিন্তু পিছু ছাড়ছে না। ভিটে ছেড়ে যাওয়া মানুষজন হোটেলে থাকলেও সারাদিন ওই এলাকাতেই ঘুরে যাচ্ছেন। বাড়িটাকে একবার চোখের দেখা দেখছেন।
ঘরছাড়া স্থানীয় মানুষের উদ্বেগ চোখে পড়ার মতন। কয়েকজন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে চোখের জল ফেলছেন। কেউ তাকিয়ে আছেন শূন্য দৃষ্টি নিয়ে। তবে আর কোনওদিন ফিরবেন না ছোট থেকে এতগুলো বছর জীবনের কাটিয়ে ফেলা সেই বাড়িটায়। যে বাড়িটার প্রতিটি কোণা তাঁর বড্ড চেনা। প্রতিটি কোণায় লেপ্টে আছে নানা স্মৃতি। সেই বাড়িটা, ঘরটা, বারান্দাটা, সিঁড়িটা ছেড়ে বেরিয়ে আসাটাই কী তবে ওই বাড়ির শেষ স্পর্শ হয়ে রইল? হতাশা মানুষকে ক্রমশ গ্রাস করছে। যেভাবে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ছে তাতে আতঙ্ক যেন বুকের মধ্যে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসছে।