দিনটা ছিল ১৯৯০ সালের ১৬ অগাস্ট। হাজরা মোড়ে মিছিল করছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মিছিলে আচমকা হামলার ঘটনা ঘটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় মোটা ডাণ্ডার বাড়ি পড়ে। ২ বার ডাণ্ডার আঘাত পাওয়ার পর রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন তাঁর চিকিৎসা হয়। মাথায় ফেট্টি বাঁধা অবস্থায় তাঁকে পরে অনেকদিন দেখেছেন মানুষজন। সেদিন মমতার মাথায় সেই আঘাত যিনি করেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল সেই লালু আলমের বিরুদ্ধে পরে মামলা দায়ের হয়।
মোট ১২ জন এই মামলায় অভিযুক্ত ছিল। বছরের পর বছর ধরে এই মামলা চলেছে। এরমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। লালু আলমের বয়স বেড়েছে। অনেক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকজন পলাতক। পড়ে ছিলেন লালু আলম। বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে সেই মামলার আর কোনও ভবিষ্যৎ নেই বলে জানিয়ে দেন খোদ সরকারি আইনজীবীই। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেননি লালুর আইনজীবী।
আলিপুর আদালত তাই এদিন এই মামলা বন্ধ করে দেয়। লালু আলমকে বেকসুর খালাস করে দেয়। স্বভাবতই খুশি লালু আলম। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এই মামলা টেনে নিয়ে গেলে লালু আলমের শাস্তি হয়ত হত। কিন্তু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লালু আলম মেরেছিল বলে অভিযোগ, সেই মমতাই মুখ্যমন্ত্রী হয়েও হয়ত কোথাও লালুকে বাঁচিয়ে দিলেন।