যাদবপুর কাণ্ডের দিনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ভর্তি হন সহ উপাচার্যও। ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। ওদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে এসএফআই-এর ছাত্রছাত্রীদের প্রবল বিরোধের মুখে পড়তে হয়। ঘেরাও হয়ে থাকেন মন্ত্রী। সেইসময় তিনি উপাচার্যকে বলেন তাঁকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ ঢাকা হোক। কিন্তু উপাচার্য জানিয়ে দেন তিনি পুলিশ ক্যাম্পাসে ডাকতে পারবেন না। তার জন্য যদি তাঁকে ইস্তফা দিতে হয় তাতেও তিনি রাজি। স্বভাবতই পুলিশ না ডাকাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি রাজ্যপালকেও জানিয়ে দেন তিনি পুলিশ ডাকতে পারবেন না। তারপর ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন উপাচার্য।
বাবুল সুপ্রিয়কে ছাড়াতে তখন নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন রাজ্যপাল। ছাড়িয়েও আনেন। কিন্তু উপাচার্যের সঙ্গে পুলিশ ডাকা নিয়ে তাঁর সংঘাত স্পষ্টতই সামনে চলে আসে। যাদবপুরের ঘটনার ২ দিন পর অবশেষে কিছুটা বরফ গলল। শনিবার উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে হাজির হন রাজ্যপাল। ছিলেন প্রায় আধ ঘণ্টা। এরমধ্যে একান্তে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন।
রাজ্যপাল যে উপাচার্যের সঙ্গে একসঙ্গে আগামী দিনে কাজ করতে চান সেকথা রাজভবনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যপালের উপাচার্যকে দেখতে আসার মধ্যে দিয়ে এটা পরিস্কার যে বিষয়টি হয়তো অনেকটাই মিটে গেল। যাদবপুর কাণ্ডে ইতি টানার প্রক্রিয়াও শুরু হল। তবে গত শুক্রবার বিজেপি সাফ জানিয়েছে যে ছাত্রছাত্রীরা বাবুল সুপ্রিয়কে সেদিন নিগ্রহ করেছে, বিজেপি তাদের ছাড়বে না। সেটা কোন পথে এগোয় আপাতত সেটাই দেখার।