যাদবপুর কাণ্ডের জের কেটেও কাটছে না। সোমবার দুপুরে গোলপার্ক থেকে যাদবপুরের উদ্দেশে একটি মিছিল বার করে এবিভিপি। কিন্তু অশান্তি এড়াতে সেই মিছিলকে যোধপুর পার্কের কাছে রুখে দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশ ব্যারিকেড করে রাখে। মিছিল সেখানে পৌঁছে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে। তার তাতেই শুরু হয় ধুন্ধুমার। এবিভিপি কর্মীরা জোর করে এগোতে শুরু করলে প্রতিরোধ করতে শুরু করে পুলিশ। এই পরিস্থিতি বেশ কিছুক্ষণ চলতে থাকে। রাস্তা স্তব্ধ হয়ে যায়। ইটবৃষ্টি করতে থাকেন এবিভিপি সদস্যরা। পুলিশও পাল্টা প্রতিরোধের রাস্তায় হাঁটে। কিছুক্ষণ এমন চলার পর ব্যারিকেড না ভাঙতে পেরে শান্ত হন এবিভিপি কর্মীরা।
এবিভিপি মিছিল করে যাদবপুরের দিকে আসবে এ খবর ছিলই। তাই পাল্টা যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ভিড় জমিয়েছিলেন এসএফআই সদস্যরা। অনেক পড়ুয়াও এতে সামিল হন। সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে এবিভিপির মিছিল সেখানে পৌঁছলে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
এমন কিছু হতে পারে এই আশঙ্কা করে পথে নামেন যাদবপুরের অধ্যাপকেরা। তাঁরা এসএফআইয়ের এই জমায়েতের সামনে রাস্তা আটকে মানববন্ধন তৈরি করেন। কোনওভাবে এবিভিপির মিছিল সেখানে এলে যাতে দুপক্ষে কোনও সংঘর্ষের সৃষ্টি না হয় সেকথা মাথায় রেখেই তাঁরা এদিন দুপুরের রোদে মানববন্ধন তৈরি করে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা থাকলে ওখান দিয়ে এবিভিপি মিছিল করে গেলেও এসএফআই সদস্যদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কিরও সম্ভাবনা ছিল না। কারণ সেক্ষেত্রে অধ্যাপকদের প্রথমে সরাতে হত। যা পড়ুয়াদের পক্ষে শোভনও নয়, মুশকিলও।