পুজোর সময় যে বিক্রিবাটা হয় তা বছরের অন্য সময় কোথায়? যদি কিছুটা হয়, তো সেই চৈত্র মাস। এর বাইরে ওই পুজোর বাজারের দিকে অনেকটা নির্ভর করেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। পুজোর আর হাতে গোনা দিন বাকি। ফলে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে পুজোর বাজার। এই সপ্তাহ পার করলে পুজো প্রায় শুরু। তার আগে এই সপ্তাহের প্রতিটি দিনই ছিল ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সে গুড়ে বালি দিয়েছে বৃষ্টি।
মূল বর্ষার সময়ে মৌসুমি বায়ু এতটা সক্রিয় হয়নি যতটা এখন হয়েছে। ফলে বৃষ্টি হচ্ছে গত সোমবার থেকেই। সোমবার অল্প হলেও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কিন্তু তার তেজ বাড়ায়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে প্রবল ঝেঁপে বৃষ্টি নামে কলকাতা ও তার আশপাশের জেলাগুলিতে। বৃষ্টি শুধু রাস্তাঘাটেই জল ঢালেনি, জল ঢেলেছে পুজোর বাজারেও। শ্যামবাজার, হাতিবাগান, গড়িয়াহাটের মত বাজারও ফাঁকা ছিল। ফাঁকা ছিল নিউ মার্কেট চত্বরও। কেউই ওই বৃষ্টি মাথায় করে পুজোর বাজারে বার হতে চাননি।
বুধবার সকাল থেকেও আকাশের মুখ ছিল ভার। সারারাত নাগাড়ে বৃষ্টি চলার পর সকালেও সেই রেশ বজায় ছিল। তবে বেলা বাড়লে বৃষ্টি একটু ধরে আসে। দুপুরের পর বৃষ্টি প্রায় হয়নি বললেই চলে। কিন্তু আকাশ মেঘে ছেয়ে আছে। ফলে এদিনও বাজারে তেমন ভিড় হয়নি। আগামী শনিবার মহালয়া। পুজো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু আগামী সপ্তাহের শুক্রবার থেকে। তার আগে আর কটাদিনই বা হাতে রইল। এখন যদি বৃষ্টি থেমে পরিস্কার হয়ে যায় আকাশ, তবে ব্যবসায়ীদের আশা বৃহস্পতিবার থেকে বাজার ফের জমতে পারে। তবে শর্ত একটাই আবার না বৃষ্টি হয়!