উত্তর কলকাতার একটা অংশ তথা উত্তর শহরতলির লক্ষ লক্ষ মানুষের কলকাতায় আসার এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বিটি রোড। সেই বিটি রোড টালা ব্রিজ হয়ে চলে যাচ্ছে শ্যামবাজার। সারা দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন। শহরের অন্যতম প্রধান রাজপথ এটি। আর শ্যামবাজার থেকে বিটি রোড ধরে এগোতে গেলে টালা ব্রিজ পার করা আবশ্যিক। কিন্তু সেই টালা ব্রিজ বা হেমন্ত সেতু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আজ জরাজীর্ণ। বিভিন্ন দিক থেকে গাছ উঠেছে। খসে গেছে কংক্রিট। ফাটল ধরেছে চারধারে। ভিতরে ভিতরে জলও জমছে। যার ফলে টালা ব্রিজের অবস্থা বিপজ্জনক। যে কোনও সময়ে বিপত্তি ঘটতে পারে। এই অবস্থায় আপাতত টালা ব্রিজে ভারী গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে চলেছে প্রশাসন।
টালা ব্রিজে হাইট বার লাগিয়ে বাস ও বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে। ফলে যে টালা ব্রিজ সারাদিন বাসের ভিড়ে থিক থিক করে, সেই টালা ব্রিজে পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাসের চলাফেরা। আপাতত শুধু ছোট গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে সেটাও কতদিন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ বিশেষজ্ঞরা টালা ব্রিজের মেরামতির স্বপক্ষে রায় দিচ্ছেন না। তাঁরা মনে করছেন টালা ব্রিজকে আর সারানোর উপায় নেই। ওই ব্রিজ ভেঙে নতুন করে বানাতে হবে।
নবান্নের তরফে অবশ্য ভেঙে ফেলা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। তা নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসতে চলেছেন। এদিকে টালা ব্রিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে ইতিমধ্যে ঘুম উড়েছে বিটি রোডের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। প্রশাসনের তরফেও বাস কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে কিছু বাস পাইকপাড়া হয়ে টালা পার্ক হয়ে আর জি কর দিয়ে শ্যামবাজার পৌঁছতে পারে। কিছু বাস চিড়িয়া মোড় পার করে ক্যানাল রোড ব্রিজ হয়ে বাগবাজার হয়ে শ্যামবাজার পৌঁছতে পারে বা সরাসরি সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরতে পারে। তবে বিকল্প পথ কী হতে চলেছে তা চূড়ান্তভাবে কিছু জানানো হয়নি।