পঞ্চমীর দিন। রাস্তায় মানুষের ঠাকুর দেখার ঢল ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন বাজারে, শপিং মলে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা চলছে। আর এমন এক উৎসবমুখর মুহুর্তে সল্টলেকের বৈশাখীর কাছে এএমপি শপিং মলে আগুন আতঙ্ক ছড়ায়। শপিং মলের বেসমেন্ট থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বার হতে থাকে। ধোঁয়া এতটাই বেশি ছিল যে চারধার ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। রাস্তা, আশপাশের এলাকা ভাল করে দেখা যাচ্ছিল না ধোঁয়ায়। দমকল দ্রুত কাজ শুরু করলেও ধোঁয়া বার হচ্ছিল বেসমেন্ট থেকে। আর সেখানে প্রবেশ করা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না তাঁদের পক্ষে। তবে বাইরে থেকে জল দিয়ে আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনার সবরকম চেষ্টা শুরু করেন দমকলকর্মীরা। বোঝার চেষ্টা করেন আগুনের উৎস কোথায়। পরে মাস্ক পড়ে ভিতরেও ঢোকেন দমকলের আধিকারিকরা।
আগুন লাগার পরই দ্রুত শপিং মল ফাঁকা করে দেওয়া হয়। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলকেই বাইরে বার করে আনা হয়। শপিং মলটির উপরের তলায় অফিসও রয়েছে। সেখান থেকেও মানুষজন ফায়ার অ্যালার্ম শুনে দ্রুত বেরিয়ে আসতে থাকেন। আতঙ্ক গ্রাস করে। আতঙ্ক ছড়ায় আশপাশেও। কারণ মলের আশপাশে আবাসন, বসত বাড়ি রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা আগুন ছড়ানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এদিকে শপিং মলটির অফিসগুলিতে কর্মরত মানুষজনের অভিযোগ আগুন লাগলে জল ছড়ানোর জন্য যে মেশিন, যাকে ফায়ার স্প্রিঙ্কলার বলা হয় তা কাজ করেনি।
বিকেলেই সেখানে হাজির হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও সল্টলেক পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। সুজিতবাবু দমকল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। এদিকে আগুন লাগার পর এক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও দমকলকর্মীরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। তবে তারপর আস্তে আস্তে মাস্ক পড়ে ভিতরে প্রবেশ করেন। বাইরে থেকে জল দিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলতে থাকে। আগুন লাগার কারণ অজানা। তবে ওই শপিং মলে আসা মানুষজন বা সেখানে কর্মরত কয়েকজনের দাবি আগুন বেসমেন্টে লাগে ওয়েল্ডিং মেশিন থেকে। এখানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। আগুনে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও বাইক পুড়ে গেছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। এদিকে আগুনের জেরে কালো ধোঁয়া বার হতেই থাকে। মাঝেমধ্যে কিছু ফাটার মত আওয়াজও হতে থাকে। ফলে গোটা এলাকা জুড়েই আতঙ্ক ছড়ায়।