অবশেষে সামনে এলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। বর্তমানে তিনি রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান। প্রায় ১ মাস ধরে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে সিবিআই। সারদা মামলায় তাঁর খোঁজ চলছিল। হাইকোর্ট তাঁর গ্রেফতারির ওপর রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজা হলেও তাঁর গ্রেফতারির সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল। আর হাইকোর্ট তা জানানোর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। অবশেষে তিনি প্রকাশ্যে এলেন। গত ১ অক্টোবর তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তারপর বৃহস্পতিবার তিনি হাজির হলেন আলিপুর আদালতে। সেখানে আগাম জামিনের জন্য যাবতীয় নিয়ম পালন করেন তিনি। আর তা করতেই তাঁর সশরীরে অজ্ঞাতবাস থেকে প্রকাশ্যে আসা। তবে তিনি এখন নিশ্চিন্ত। কারণ তাঁকে চাইলেও গ্রেফতার করতে পারবেনা সিবিআই।
এর আগে হাইকোর্ট রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার পর তাঁর খোঁজে তাঁর বাড়িতে গেছে সিবিআইয়ের বিশেষ দল। রাজীব কুমারের কর্মস্থল ভবানী ভবনে হাজির হয়েছে তারা। সেখানে তাদের জানানো হয়েছে রাজীব কুমার ছুটিতে আছেন। এরপর নবান্নেও হাজির হয় সিবিআই। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। হন্যে হয়ে খুঁজেও রাজীব কুমারকে না পেয়ে এক সময়ে সিবিআইয়ের দিল্লি থেকে আসা বিশেষ দল ফেরত যায় দিল্লিতে। রাজীব কুমারকে খোঁজার দায়িত্ব দিয়ে যায় এখানকার সিবিআই আধিকারিকদের।
সারদা কাণ্ডের তদন্তের জন্য সে সিট গঠন করা হয় সেই সিটের মাথা ছিলেন বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিটের মাথা থাকাকালীন তিনি সারদা মামলার নথি সরিয়ে দিয়েছেন। নষ্ট করেছেন। ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ রাজীব কুমারের বাসভবনে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। দুপক্ষে কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয়। এই ঘটনার পর আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। রাজীব কুমার গ্রেফতারি এড়াতে আদালতের কাছে রক্ষাকবচের আবেদন জানান। সেই আবেদনে তখন সাড়া দেয় আদালত। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সেই রক্ষাকবচ তুলে নেয় আদালত।