বিজয়ার দিন সন্ধেয় এখন বিভিন্ন বারোয়ারিতে যেমন নিরঞ্জনের তোরজোড় চরমে ওঠে, তেমনই অন্যদিকে অনেক বারোয়ারিতে দশমীর সন্ধেটা পুজোর অন্যদিনগুলোর মতই ঝলমলে থাকে। সেখানে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। সকাল থেকে ভিড় থাকে। ভিড় বাড়তে থাকে যত দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামে। তারপর রাত পর্যন্ত সেখানে ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুজোর উদ্যোক্তাদের। বিজয়ার সন্ধেয় এসব প্যান্ডেলে বিষাদ নামে না। বরং উৎসবমুখর রাত থাকে নিজের মেজাজেই।
মঙ্গলবার যখন এমন নানা প্যান্ডেলে ভিড় বাড়ছে। তখনই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি নামে। সন্ধে নামার পরই এই বৃষ্টি কিন্তু কোথাও দশমীর সন্ধের তাল কেটেছে। একদিকে তা যেমন ঠাকুর দেখতে বার হওয়া মানুষজনকে ফাঁপরে ফেলে তেমনই মুশকিলে ফেলে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য ব্যস্ত বারোয়ারিকে। সাধারণত নতুন পোশাকেই সকলে ঠাকুর দেখতে বার হন। তাঁরা যেমন নতুন পোশাক পড়ে অল্প ভিজেছেন, তেমনই পুজো উদ্যোক্তারা সমস্যায় পড়েন ঠাকুর বার করতে গিয়ে। তবে বৃষ্টি খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এটাই মঙ্গল। কারণ বেশি বৃষ্টি সমস্যা আরও বাড়ত। বৃষ্টি কম হলেও আকাশে কিন্তু রাত পর্যন্ত বিদ্যুতের ঝলক দেখা গেছে।
মঙ্গলবার রাত যত বেড়েছে ততই গঙ্গার ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ভিড় বেড়েছে। রীতি মেনে ৭ পাক ঘোরানোর পর প্রতিমা জলে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত ছিল। পুলিশি নজরদারিও ছিল। পুলিশের তরফে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিরঞ্জন পর্ব পরিচালনা করা হয়। তবে এদিন কিছু ঠাকুর ভাসান হয়েছে। ২ দিনও নিরঞ্জনের সময় রয়েছে।