টালা ব্রিজের যা পরিস্থিতি তাতে তা ভেঙে ফেলতে হবে। পরীক্ষার পর এমনই মত দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। পুজোর পরে এ নিয়ে নবান্নে বৈঠকও হয়। অবশেষে শুক্রবার নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে স্থির হল টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলা হবে। তবে ভাঙার আগে মাটি সহ সার্বিক পরীক্ষার দরকার রয়েছে। ব্রিজের নিচে কোথাও কোনও পাইপ বা কোনও লাইন আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। এসব শেষ করতে ২ মাস সময় লেগে যাবে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এই ভাঙার কাজ শুরু হবে।
টালা ব্রিজে এখন ৩ টনের কম ওজনের গাড়ি যাতায়াত করছে। তবে ভেঙে ফেলা শুরু হলে সেটাও আর হবেনা। সেসব গাড়িকেও ঘুরপথেই যাতায়াত করতে হবে। টালা ব্রিজের কারণে এখন সব বাসই ঘুরপথে যাতায়াত করছে। ২৩০ রুটের বাস তো বন্ধই হয়ে গেছে যাত্রী অভাব ও গন্তব্যে পৌঁছতে অস্বাভাবিক সময় লাগার কারণে। আর জি কর হয়ে যেসব গাড়ি আসছে সেগুলি বিশাল যানজটের শিকার হচ্ছে। ২১৪ রুটের মত বাসগুলি পুরো রুটে যাতায়াতই করছেনা। এই পরিস্থিতিতে সময় বেশি লাগার ভোগান্তির পাশাপাশি কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল ঘুর পথে যেতে হচ্ছে বলে বাসের ভাড়া বাড়তে পারে। এদিন কিন্তু পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে যে ভাড়া বাড়বে না।
ব্রিজ ভাঙার আগে নকশা প্রস্তুত করা হবে। ব্রিজ ভাঙবে রেল ও পিডব্লিউডি। ব্রিজের যে অংশের তলা দিয়ে রেল লাইন গেছে সেই অংশ ভাঙবে রেল। বাকিটা পিডব্লিউডি। এদিকে টালা ব্রিজ ভাঙা হয়ে নতুন করে তৈরি করে চালু হতে একটা বিশাল সময়ের অপেক্ষা। এই সময়ে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে কিছু বাস ডানলপ বা সিঁথির মোড় থেকে চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।