পরিবেশ আদালত থেকে জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর আয়োজন করা যাবেনা। সেক্ষেত্রে সরকার বিকল্প কোথাও পুজোর বন্দোবস্ত করে দেবে। কিন্তু রবীন্দ্র সরোবরে নয়। সেইমত সরোবরের গেটে ব্যানার দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার কথা। গত শুক্রবার থেকে গেটে তালাও পড়ে যায়। শনিবার ছট পুজোর সকালে কিন্তু কিছু যুবক এসে অনায়াসে প্রথমে ভেঙে দিলেন ৩ নম্বর গেটটি। পরে মাদার ডেয়ারি গেটের তালাও ভেঙে ফেলেন তাঁরা। তারপর অনায়াসেই ঢুকে পড়েন ভিতরে। রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে থাকা বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ কিছু হয়নি। সকলে হৈহৈ কতরে ভিতরে ঢুকে ছট পুজোর জোগাড় শুরু করে দেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই এভাবে রবীন্দ্র সরোবরে প্রবেশ করা রুখতে সেখানে কিন্তু পুলিশ বড় একটা নজরে পড়েনি। এমনকি এভাবে গেটের তালা ভেঙে প্রবেশের পরও সেখানে পুলিশ এসে হাজির হয়নি। বরং প্রতি বছর যেভাবে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর বিশাল ভিড় থাকে তেমন ভাবেই তোরজোড় করে শুরু হয়ে যায় পুজো। জলে নামার জন্য নিয়ে আসা হয় মই। আনা হয় পুজোর প্রয়োজনীয় উপকরণ। অনেককে সরোবরের জল তুলে জায়গা পরিস্কার করে সেখানে চাদর পেতে পুজোর আয়োজন করতে দেখা যায়।
বিনা বাধায় এভাবে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর আয়োজন নিয়ে পরিবেশকর্মীরা বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য তাহলে আদালতের রায় থাকার লাভ কী হল? যা চলছিল তাই তো চলল। রবীন্দ্র সরোবরকে দূষণমুক্ত করতেই আদালত রায় দিয়েছিল এখানে যেন ছট পুজো না হয়। প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার করে সকলকে বিকল্প অন্য জলাশয়ে যেতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু এত নিষেধাজ্ঞা, এত প্রচার, বিকল্প জলাশয় এদিন ফুৎকারে উড়ে গেল। বরং চেনা ছট পুজোর ছবিই ধরা পড়ল এখানে।