নাগেরবাজারের আইএলএস হাসপাতাল। বেসরকারি এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন স্বপন রায় নামে এক ব্যক্তি। ৬০ বছরের ওই ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরেই আইএলএস-এ ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাত। প্রায় তখন রাত ৩টে। এমন সময় প্রায় শব্দহীন হাসপাতাল চত্বরে একটি বড় কিছু পড়ার শব্দ পান নিরাপত্তারক্ষীরা।
আওয়াজটা আসে হাসপাতালের পিছন দিক থেকে। দ্রুত সেখানে হাজির হন তাঁরা। সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন স্বপনবাবুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হলে তাঁকে পরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ আসে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ব্যক্তি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। চরম অবসাদের শিকার। তিনি প্রথমে হাসপাতালের ছাদে উঠে যান। তারপর সেখান থেকে নিচে ঝাঁপ দেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এদিকে এভাবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগী তাঁর বেড থেকে উঠে সকলের চোখ এড়িয়ে হাসপাতালের ছাদ পর্যন্ত কীভাবে পৌঁছে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে সেখানকার নার্স বা অন্য কর্মীরা কী করেন? তাঁরা কোথায় থাকেন? তাঁদের সামনে দিয়ে নিশ্চয়ই একজন রোগী সটান ছাদে উঠে যাননি! তাও আবার মধ্যরাতে! এ নিয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ অনেক রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা রাতে থাকেন না। রোগীকে হাসপাতালের ভরসায় রেখে যান। তাঁর তাহলে কেমন সেবা হয় এই হাসপাতালে? কতটাই বা সুরক্ষিত তাঁদের রোগীরা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।