রাতের কলকাতায় ফের গণধর্ষণের শিকার এক মহিলা। বছর ৩৫-এর ওই মহিলার মানসিক সমস্যা থাকায় তাঁকে হোমে রেখেছিলেন বাড়ির লোকজন। সেখানে একটি অপরিসর ঘরে থাকতেন তিনি। সেই ঘর থেকেই গত মঙ্গলবার উধাও হয়ে যান ওই মহিলা। হোমের কেউই জানেন না তিনি কখন বেরিয়ে গেলেন সেখান থেকে। অভিযোগ, রাস্তায় বেরিয়ে রাতের অন্ধকারে হেঁটে চলার সময় তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায় একটি গাড়ি। তাঁকে জোর করে গাড়িতে টেনে তোলা হয়। তারপর তাঁকে একটি নির্জন খালের ধারে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওখানে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর তাঁকে গাড়িতে তুলে মারধরও করা হয়। এরপর গাড়ি থেকে সোনারপুরের কাছে তাঁকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে পালায় দুষ্কৃতিরা। ওই মহিলাকে এরপর স্থানীয়রাই তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি পৌঁছে দেন। এদিকে তাঁর হারিয়ে যাওয়ার খবর পরিবারের লোকজনকে আগেই হোমের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশও তৎপরতার সঙ্গে ওই মহিলার খোঁজ চালাচ্ছিল।
ওই মহিলার পরে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে হোম থেকে ওই মহিলা কীভাবে উধাও হয়ে গেলেন? ওই হোমের তালা ভাঙা ছিল কেন? এসবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেখা হচ্ছে হোমের সিসিটিভি ফুটেজও। তবে হোমে থাকা কোনও ব্যক্তির দায়িত্ব হোমেরই। কিন্তু একজন মহিলা সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন আর হোমের কেউ কিছু জানতেই পারলেন না! এমন ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। ওই মহিলাকে কারা গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তাদেরও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চসায়র এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা