কলকাতার রানিকুঠি এলাকার রানিদিঘি। এলাকায় যথেষ্ট পরিচিত এই জলাশয়। চারধার বাঁধানো। এখানেই গত শুক্রবার সন্ধেবেলা বসেছিল এক ছাত্রী। আশপাশে লোকজনও ছিল। তাঁদের কয়েকজন দেখেন। সঙ্গে থাকা পড়ার ব্যাগ, মোবাইল দিঘির ধারে রেখে আচমকাই জলে ঝাঁপ দেয় ওই ছাত্রী। ছুটে এগিয়ে যান সকলে। অন্ধকারেও জল থেকে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু ফল হয়নি। দ্রুত জলে তলিয়ে যায় সে।
পুলিশকে খবর দেওয়া হলে স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ হাজির হয়। আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জলে নামানো হয় ডুবুরি। তাঁরাই জল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে তুলে আনেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাড়ি থেকে পড়তে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে এই কাণ্ড সে ঘটায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রীর ব্যাগ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে ওই ছাত্রী জানিয়ে গিয়েছে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। সামনে পুরো জীবন পড়েছিল। তবু সে এমন কাণ্ড করল কেন? জানা যাচ্ছে, ওই ছাত্রী শহরের একটি নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে পড়ত। তার পড়াশোনার অবনতি হয়েছিল। পরীক্ষার ফল ভাল হচ্ছিল না। তা নিয়ে সে যেমন চিন্তায় ছিল, তেমনই তার ইচ্ছাকে পরিবার মর্যাদা দিচ্ছেনা বলেও তার মধ্যে নাকি একটা চাপা অসন্তোষ ছিল। তার ইচ্ছা ছিল মডেলিং জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার। কিন্তু পড়া ছেড়ে এখনই মডেলিংয়ে সময় দেওয়া নিয়ে পরিবারের আপত্তি ছিল। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।