ঠিক ছিল শিয়ালদহ চত্বর থেকেই মিছিল শুরু হবে। সেইমত সব ব্যবস্থা পাকা। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী সমর্থকেরা শিয়ালদহে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পুলিশও তৈরি ছিল। মিছিল শুরুর চেষ্টা হতেই পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের এই মিছিলের অনুমতি ছিলনা বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। ফলে পুলিশ তাদের মিছিল নিয়ে এগোতে দেয়নি। গ্রেফতার হতে থাকেন মিছিলে অংশ নেওয়া হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমর্থকেরা। এই পর্যন্ত চলছিল খুব চেনা ছকেই। কিন্তু এরপরই ছক ভেঙে একদম অন্য রাস্তা নেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা যখন দেখেন শিয়ালদহ থেকে তাঁদের মিছিল এগোনো মুশকিল তখন আচমকাই তাঁরা মৌলালির কাছে পৌঁছে একটি মিছিল শুরু করে দেন। এখানে মিছিল শুরুর কথা না থাকায় পুলিশও মজুত ছিলনা। ফলে মিছিল সহজেই এগোতে থাকে। দেখা যায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী সমর্থকেরা হেঁটে নয়, ছুটে মৌলালি পার করে এসএন ব্যানার্জী রোড ধরে এগোতে থাকেন। তাঁদের হাতে ছিল বিশাল ব্যানার। মুখে ছিল জয় শ্রীরাম ও ভারতমাতা কি জয় ধ্বনি।
পুলিশ প্রথমে নিজেদের গোছানোর সুযোগ না পেলেও দ্রুত ডিসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী এসএন ব্যানার্জী রোডে হাজির হয়ে মিছিলের পথ আটকায়। প্রথমে ধস্তাধস্তির পর পুলিশ মিছিল ঠেকাতে লাঠিচার্জ শুরু করে। খুব বেশি লাঠিচার্জ করতে হয়নি পুলিশকে। তারমধ্যেই দ্রুত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। মিছিলকারীরা এদিক ওদিকের গলিতে ঢুকে পড়েন। সেখানে তাঁদের ধাওয়া করে পুলিশ। দেখা যায় ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে তাতে করেও গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী সমর্থকদের।
দ্রুত অবস্থা স্বাভাবিক করে পুলিশ। শুরু হয় যান চলাচল। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের এদিনের মিছিলে উল্লেখযোগ্যভাবে নজর কেড়েছে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকেও এদিন আটক করে পুলিশ। এদিনের তাণ্ডবে সামান্য সময়ের জন্য হলেও দুপুরের মৌলালি, এসএন ব্যানার্জী রোড চত্বরে তুলকালাম হয়ে যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা