শুক্রবার সন্ধেয় দমদম পার্ক এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন এলাকার যুব তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত বিশ্বজিৎ প্রসাদ। তিনি ওই চায়ের দোকানে প্রায়ই আসেন। তেমনই এসেছিলেন শুক্রবার। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। অভিযোগ সে সময়ে কয়েকটি বাইকে করে দুষ্কৃতিরা হাজির হয় সেখানে। এসে প্রথমেই বোমাবাজি শুরু করে। ওই চায়ের দোকান লক্ষ্য করেও বোমা ছোঁড়া হয়। এলাকায় মুহুর্তে আতঙ্ক ছড়ায়। বিশ্বজিৎ প্রসাদ সহ সকলে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন।
অভিযোগ বোমা ছুঁড়ে একটা আতঙ্ক সৃষ্টির পর বিশ্বজিৎ প্রসাদকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতিরা। তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। গুলি বিশ্বজিৎ প্রসাদের পায়ে এসে লাগে। এদিকে গুলি চালিয়ে বোমা ছুঁড়ে এরপর সেখান থেকে বাইক নিয়েই পালায় দুষ্কৃতিরা। বিশ্বজিৎ প্রসাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় আরও ২-১ জন আহত হন।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এর পিছনে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় অনেক মানুষ তখন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। স্থানীয়রাই জানাচ্ছেন এলাকায় বোমা ছোঁড়ার পর কীভাবে আতঙ্ক ছড়ায়। তৃণমূলের দাবি এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। যদিও বিজেপি তা মানতে নারাজ। ঘটনা ঘিরে শনিবারও এলাকায় চাপা চাঞ্চল্য ছিল।