সোমবার বিজেপি একটি মহামিছিল করে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। সপ্তাহের প্রথম ২ দিনে ২টি মিছিল কলকাতার মধ্য ও উত্তরভাগকে স্তব্ধ করে দিল। আর তার জেরে চরম দুর্ভোগের শিকার হলেন সাধারণ মানুষ। সোমবার বিজেপি মিছিল করে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত। যার জেরে গাড়ি থেকে বাস সবই ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করে। যাতে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। কেউ কাজে যাচ্ছিলেন, কেউ চিকিৎসার প্রয়োজনে, কেউ যাচ্ছিলেন অন্য কাজে। সকলেই ঠায় বাসে বা গাড়িতে বসে থেকেছেন। কিন্তু চাকা গড়ায়নি। অনেকে সঠিক সময়ে পৌঁছতে না পেরে ফিরে যান। সাধারণ মানুষ কিন্তু দলমত নির্বিশেষে এমন কর্মনাশা মিছিলকেই দুষছেন। আর তা কান পাতলে শহরের রাস্তায়, বাসে, পাড়ার মোড়ে শোনা যাচ্ছে।
অফিস টাইম বাদ দিয়েই মিছিল হয়েছে। কিন্তু শুধু অফিস টাইম বাদ দিলেও মানুষের বহু কাজ থাকে। সে সব কাজই পণ্ড হয়েছে। সকলের একটাই প্রশ্ন, শহরকে স্তব্ধ না করে কোনও একটা মাঠে আন্দোলন করলেই হয়। মিছিলে আটকে থাকা মানুষের মিছিল দিয়ে কোনও উপকার হয়না। এমনই মন্তব্য শোনা গেছে সাধারণ মানুষের কণ্ঠে। সোমবার বিজেপির মিছিলে হয়রানির পর মঙ্গলবার তৃণমূলের মিছিলে হয়রানি। অনেক এলাকাতেই গাড়ি থমকে যায়। রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। অন্য রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
সাধারণ পথচলতি আমজনতা কিন্তু এমন মিছিলকে পছন্দ করছেন না। সে তাঁর পছন্দের দলের মিছিল হোক বা মিছিলের বক্তব্যে তাঁর সমর্থন থাকুক। স্বাভাবিক জীবনকে রুদ্ধ করা এমন মিছিল শহরের বুকে একটা অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম থমকে যাচ্ছে। রুটিরুজিতে ধাক্কা পড়ছে। যা শহরবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছেনা। এটা বোধহয় রাজনৈতিক দলগুলিরও বিবেচনার সময় এসেছে।