শুক্রবার দুপুরে কুয়োর জলে স্নান করছিলেন বাঁশদ্রোণীর যুবক সম্রাট সরকার। কিন্তু তারপর তাঁকে আর দেখা যায়নি। স্নান করতে করতে কোথায় ভ্যানিস হলেন ওই যুবক? স্থানীয়রা আশপাশ দেখার পর নিশ্চিত হন কুয়োতেই হয়তো পিছলে পড়ে গেছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আসে দমকল। বিকেল থেকে শুরু হয় তল্লাশি। কুয়োর জলে তল্লাশি শুরু করেন দমকলকর্মীরা। কিছুক্ষণ পর দেহ পাওয়া যায়। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তাঁর দেহ দড়িতে বেঁধে ওপরে তোলার চেষ্টা শুরু হয়।
দড়ি দিয়ে বেঁধে দেহ উপরে তোলার চেষ্টা হলেও মাঝপথেই দড়ি ছিঁড়ে ফের দেহ জলে গিয়ে পড়ে। রাত ১০টা পর্যন্ত দেহ তোলার চেষ্টা করে দমকল। স্থানীয় মানুষের প্রবল ভিড় হয়ে যায় আশপাশে। অবশেষে রাতের মত উদ্ধারকাজ বন্ধ করেন দমকলকর্মীরা। তাতে অবশ্য ওই যুবকের পরিবার ও স্থানীয় মানুষের অসন্তোষ চরমে ওঠে। শুরু হয় বিক্ষোভ। তবে দমকল আর উদ্ধার কাজ শুরু করেনি।
শুক্রবার সকাল হতেই ফের শুরু হয় উদ্ধারকাজ। অবশেষে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর দেহ ওপরে আনা সম্ভব হয়। গভীর কুয়ো থেকে জল বার করেও উদ্ধারের চেষ্টা হয়। শেষ পর্যন্ত কুয়োয় কাজ করেন এমন মিস্ত্রি দিয়েই দেহ ওপরে তুলতে হয়। দমকল কিন্তু দীর্ঘ চেষ্টা ও যন্ত্রপাতি কাজে লাগিয়ে বিশেষ কিছু করতে পারেনি। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা কেটে যায় ওই যুবকের দেহ কুয়ো থেকে তুলে আনতে।