বৃষ্টি থামলে যে ঠান্ডা বাড়বে তা আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তাই হলও। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির পর শুক্রবারও আকাশে মেঘের আনাগোনা বজায় ছিল। তবে বৃষ্টি হয়নি। শুক্রবার সকাল থেকে ফের শীতের আবহাওয়া তার নিজস্ব মেজাজে জাঁকিয়ে বসল। সকালে সঠিক সময়ে রোদ উঠেছে। ঝলমলে রোদ বজায় ছিল। সঙ্গে ছিল যথেষ্ট ঠান্ডা। শনিবার ঠান্ডা হাওয়ার দাপটও ছিল। এদিন শহর কলকাতার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.১ ডিগ্রি। গত শুক্রবারের চেয়েও ১ ডিগ্রি বেশি পতন হয়েছে তাপমাত্রার। এদিনের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম।
শীতের এই পরশটাই তো চাইছিলেন শহরবাসী। তাও আবার শনিবার। সপ্তাহের শেষ। ভরা ছুটিতে চুটিয়ে আনন্দের সুযোগ। ফলে সকাল থেকেই বহু মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন। চিড়িয়াখানা থেকে ভিক্টোরিয়া, সর্বত্রই মানুষের ভিড়। সকলেই চাইছেন শীতের দিনটা প্রাণভরে উপভোগ করতে। পরিবারের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে ঠান্ডা বছর শেষে বজায় থাকবে। ফলে বর্ষশেষের আনন্দ উষ্ণতায় শীতের পরশ এক অসামান্য সময় উপহার দিতে পারে সকলকে।
কলকাতায় পারদ পতনের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে সারা রাজ্যেই পারদ পতন অব্যাহত। রাজ্যের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঠান্ডা রীতিমত কামড় বসাচ্ছে। তরতর করে পড়ছে পারদ। দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়া, জায়গার ভিত্তিতে ঠান্ডা কিন্তু সেখানকার মানুষের খুব চেনা। ফলে সেখানেও মানুষ নিজের মত করে আনন্দ উপভোগ করছেন। শনিবার আবার ছুটি থাকায় অনেকে পিকনিক করতে বেরিয়ে পড়েন শহর ছাড়িয়ে। সকাল থেকে বনভোজনের আনন্দে মেতে ওঠে আবালবৃদ্ধবনিতা।