বছরের শেষ দিন। যদিও সপ্তাহের একদম মাঝখানে। তবু ৩১ ডিসেম্বরটা তো ফিরে আসবেনা। আসবে সেই একবছর পর। তাই বছর শেষের আনন্দের দিনটা নষ্ট করতে রাজি নন শহরবাসী। সকাল থেকে সময় নষ্ট একদম নয়। প্রতিটি মুহুর্ত চলে যাওয়া মানেই তো দিনটা শেষ হওয়া। মঙ্গলবার তাই চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে বন্দি হওয়া নয়। সকলেই সকাল থেকে সেজেগুজে বেরিয়ে পড়েছেন আনন্দের খোঁজে। কেউ একটা বিনোদনস্থলে ঘুরে আসার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। তো অনেকে ঠিক করেছেন একটা জায়গা নয়। একটা জায়গায় সকালে। দুপুরে বাইরে খাওয়া। তারপর ফের অন্য কোথাও। রাতে আবার পার্টি তো আছেই।
রাতভর পার্টির পরিকল্পনা যাঁদের নেই। তাঁরা এদিন একটু সকালেই বেরিয়ে পড়েছেন গরম পোশাকে শরীর মুড়ে। কেউ গিয়েছেন চিড়িয়াখানা, কেউ ভিক্টোরিয়া, কেউ নিক্কো পার্ক, কেউ ইকো পার্ক, কেউ ময়দান, কেউ মিলেনিয়াম পার্ক, কেউ বা মেলায় ঢুঁ মেরেছেন। মোটকথা এদিন গৃহবাসী আর গৃহে থাকতে রাজি নন। এদিন সকাল থেকে পরিবার নিয়েই অধিকাংশ মানুষকে চোখে পড়েছে। বেলা যত গড়িয়েছে বন্ধুদের গ্রুপ কলকল হাসি, খুনসুটি, ঠাট্টায় মেতে বেরিয়েছেন কল্লোলিনীর বুকে। হারিয়ে গেছেন আনন্দের বন্যায়। এ দিনটা তো ফিরে আসবেনা।
সকালের দিকে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে ভিড় কম ছিল তুলনামূলকভাবে। আসলে এ শহরের বুকে সন্ধে নামলেই পার্ক স্ট্রিট জেগে ওঠে। যত রাত গড়ায় পার্ক স্ট্রিট তার স্বমহিমা খুঁজে পায়। মানুষের ঢলে হারিয়ে যেতে থাকে রাজপথ। আনন্দে ক্রমশ আত্মহারা হয়। এ পার্ক স্ট্রিটে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁলে অনেক নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী জড়িয়ে ধরেন একে অপরকে। কে কাকে তখন দেখছে! আনন্দ চুম্বনও এখানে নজর কাড়ে। অন্তত সামান্য সময়ের জন্য পার্ক স্ট্রিট হয়ে ওঠে কলকাতার টাইমস স্কোয়ার। নতুন বছরকে স্বাগত জানান সকলে। আনন্দে হুল্লোড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা