যদিও শনিবার। অনেক অফিস ছুটি। তায় আবার মেঘলা আকাশ। তবু যাঁদের কাজে বার হতে হয় তাঁরা বেরিয়েছেন। কাজ সেরেছেন। ফলে রাস্তায় মানুষের যথেষ্ট ভিড় ছিল। তারমধ্যেই মধ্য কলকাতাকে অনেকটাই অচল করে দিল দুপুরের ২টি মিছিল। ১টি বার হয় সেন্ট্রাল এভিনিউ-র যোগাযোগ ভবন থেকে। পৌঁছয় মৌলালির রামলীলা ময়দানে। অন্যটি শুরু হয় বেলেঘাটার সুভাষ সরোবর থেকে। শেষ হয় রাজাবাজারে। যে ২টি মিছিলের জেরে অনেকটাই থমকে যায় গাড়ির চাকা। সমস্যায় পড়েন মানুষজন।
২টি মিছিলের মুখ্য লক্ষ্য ছিল এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর-এর বিরোধিতা। যোগাযোগ ভবন থেকে মৌলালির রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে ফরওয়ার্ড ব্লক। ফরওয়ার্ড ব্লকের সদর দফতরের কাছ থেকেই মিছিল শুরু হয়। নেতৃত্বে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের অবশ্য এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর-এর বিরোধিতা ছাড়াও ইস্যু ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের বিরোধিতা। তাছাড়া তাদের ডাকা ৮ জানুয়ারির সাধারণ ধর্মঘটের পক্ষেও মিছিল করে ফরওয়ার্ড ব্লক।
দ্বিতীয় মিছিলটি দুপুরে বার হয় বাইপাস কাদাপাড়ার কাছে বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরের সামনে থেকে। তৃণমূলের তরফে এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর বিরোধী এই মিছিল শুরুর আগে সেখানে একটি মঞ্চে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পাল। ছিলেন ওই এলাকার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী তাপস রায় ও মন্ত্রী সুজিত বসু। মিছিল হয় বর্ণাঢ্য। ছিল ট্যাবলো, ছিল বেলুন, ছিল মাথায় ব্যান্ড, টুপি, মুখোশ। বিশাল মিছিল সুভাষ সরোবর থেকে বার হয়ে ফুলবাগান হয়ে নারকেলডাঙা মেন রোড ধরে শেষ হয় রাজাবাজারে।