মঙ্গলবার একের পর এক মিছিল কলকাতার রাস্তায় বার হয়েছে। যারমধ্যে সবচেয়ে বড় মিছিলটি হয় বিকেলে। কলেজ স্ট্রিট থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত। জেএনইউ-এর ঘটনার প্রতিবাদ করে এদিন রাস্তায় নামেন পড়ুয়ারা। কোনও ব্যানার নিয়ে নয়। কোনও ছাত্র সংগঠনের ছাতার তলায় নয়। কোনও বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের থেকে নয়। এদিন দেখা গেছে রাস্তায় নেমেছেন পড়ুয়ারা। মতাদর্শ নির্বিশেষে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তাঁরা। ডাফলি বাজিয়ে সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। প্রতিবাদের শব্দ আছড়ে পড়েছে আকাশে বাতাসে।
এই মিছিলে এদিন পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে পা মেলান শহরের বিশিষ্টজনেরা। ছিলেন কৌশিক সেন, অনীক দত্ত, রূপঙ্কর বাগচি, ঋদ্ধি সেন, নীল দত্ত, উষসী চক্রবর্তী সহ অনেকে। সেইসঙ্গে এদিন নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষের পা মেলানো। নানা বয়সের মানুষ এদিন মিছিলে অংশ নেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাঁটেন তাঁরা। জোড়াসাঁকোয় যখন মিছিল পৌঁছয় তখন সন্ধে নেমেছে শহরে। সেন্ট্রাল এভিনিউ-এর ওপর জোড়াসাঁকোয় পৌঁছনোর যে রাস্তা বেরিয়ে গিয়েছে তার সামনেই তোরণ। সেই তোরণের পাশেই অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য রাখেন অনেকে।
এই মিছিল ছাড়াও এদিন পথে বার হয়েছে বেশ কিছু মিছিল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল এদিন ক্যাম্পাস থেকে রামলীলা ময়দান পৌঁছয়। হাজরা থেকে একটি পড়ুয়াদের মিছিল বার হয়। সব মিছিলেই ছিল প্রতিবাদ। জেএনইউ-এর ঘটনার প্রতিবাদ। এছাড়াও এদিন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের তরফে একটি মিছিল বার হয়। সেখানে এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে সুর চড়ে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।