সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেসের ডাকা বন্ধে এদিন সকাল থেকেই একের পর এক ভাঙচুর, খণ্ডযুদ্ধ, ভয় দেখানো, বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া, রেল অবরোধ, ভয় দেখিয়ে দোকান বন্ধ করানোর মত ঘটনা সামনে আসে। বাদ যায়নি খোদ বড়বাজারও। বুধবার সকালে বড়বাজারে অনেক দোকানই খোলা হয়। কিছু পরে সেখানে হাজির হয় কংগ্রেসের একটি মিছিল। মিছিল থেকেই জোর করে দোকান বন্ধ করানো শুরু হয়।
দোকানের মালিক থেকে কর্মচারিদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অনেকেই দোকান ভাঙচুর হওয়ার ভয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে এসে শাটার নামিয়ে দেন। অনেক ক্ষেত্রে ধর্মঘটীরা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে শাটার নামিয়ে চলে যান। বড়বাজারে এদিন বাস, গাড়ির ওপরও হামলার চেষ্টা হয়। পুলিশি নিরাপত্তা থাকায় কোনওক্রমে ঠেকানো যায় ভাঙচুর। এই পরিস্থিতিতে বাসে থাকা মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এদিন কলকাতার চারু মার্কেট এলাকাতেও একটি মিছিল বার করেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। মিছিলের জেরে বাসের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। তবে এদিন কলকাতায় বন্ধে পুরো সাড়া না মিললেও দোকানপাট অনেক জায়গায় বন্ধ ছিল। মানুষ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঝঞ্ঝাটের খবর জেনে খুব দরকার ছাড়া রাস্তায় বার হওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। আতঙ্ক একটা কাজ করেছে। যদিও সরকারি ফতোয়া থাকায় সরকারি দফতরগুলিতে হাজিরা ছিল যথেষ্ট ভাল। অন্যান্য অফিসেও কাজ হয়েছে। কাজ হয়েছে সেক্টর ফাইভেও।