স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটে সিমলা। সেখানেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। আর সেই সিমলা এলাকাতেই সিমলা ব্যায়াম সমিতি। যা একসময় ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শরীর চর্চার আখড়া। গোপন পরিকল্পনারও আখড়া। স্বামীজিও বারবার যুব সমাজকে শরীর চর্চায় উদ্বুদ্ধ কারর চেষ্টা করেছেন। স্বামীজির স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানেই স্বামী বিবেকানন্দ জন্মোৎসব পালন করে আসছে বিবেকানন্দ পাঠচক্র। যা এ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে। গত ৬ বছর ধরে এখানে স্বামীজির জন্মোৎসব পালনের সঙ্গে সঙ্গে একটি মেলারও আয়োজন করা হচ্ছে। স্বামী বিবেকানন্দ মিলন মেলা হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষের অন্যতম আকর্ষণ।
স্বামী বিবেকানন্দ জন্মোৎসব ২ দিন ব্যাপী হত। মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে এই মেলাকে কেন্দ্র করে পুরো উৎসব পালন ৫ দিনে গিয়ে ঠেকেছে। এবারও ৫ দিন ব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার উদ্বোধন হল ৮ জানুয়ারি, বুধবার। চলবে রবিবার পর্যন্ত। সিমলা ব্যায়াম সমিতির মাঠেই হয় এই মেলা ও উৎসব পালন। বুধবার সন্ধেয় এই বিবেকানন্দ জন্মোৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খানকে উদ্যোক্তাদের তরফে সম্মান জানানো হয়।
৫ দিন ব্যাপী এই স্বামী বিবেকানন্দ মিলন মেলা চলবে বিবেকানন্দের জন্মদিবস পর্যন্ত। প্রতিদিনই থাকবে নানা অনুষ্ঠান। বসে আঁকো প্রতিযোগিতা থেকে সঙ্গীতানুষ্ঠান, স্বামীজিকে নিয়ে নানা আলোচনা থেকে যুব সম্মেলন, স্মারক বক্তৃতা থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। সবই থাকছে এই ৫ দিনে।
এছাড়া মেলার মজা তো রয়েছেই। যেখানে একের পর এক স্টলে বৈচিত্র্যের বাহার। কোথাও বিক্রি হচ্ছে ইমিটেশন গয়না, তো কোথাও সাজার জিনিস, কোথাও বই তো কোথাও মুখরোচক আচার, কোথাও হস্তশিল্পের সামগ্রি তো কোথাও স্বামীজিকে নিয়ে নানা বইপত্র। সব মিলিয়ে স্বামীজির জন্মদিবসকে সামনে রেখে এই মেলা ৫ দিনের জন্য স্থানীয় মানুষজনের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে।