খিদিরপুরের রিমাউন্ট রোড। এখানেই শুক্রবার দুপুরে ২টি বাসের রেষারেষি চলছিল। স্থানীয়দের দাবি, সে সময় ১২সি রুটের একটি বাস অপর বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে পথচারী এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় ওই ব্যক্তির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। যা স্থানীয় মানুষকে ক্ষিপ্ত করে তোলে। এদিকে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারার পর সেখান থেকে ঘাতক বাসটি চম্পট দেয়। জনৱরোষ গিয়ে পড়ে তারপরেই সেখানে হাজির হওয়া গাড়ি ও বাসের ওপর। একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর হয়। পরপর ৩টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরা আতঙ্কে নেমে পড়েন বাস থেকে।
কী হয়েছে তার বিন্দুবিসর্গও না জেনে নিছক জনরোষের শিকার হয় বেশ কিছু বাস, তার চালক, কন্ডাক্টর ও যাত্রীরা। বাসে ভাঙচুর অগ্নি সংযোগের পর সেখানে পুলিশ হাজির হলে পুলিশকে লক্ষ্য করেও শুরু হয় ইট বৃষ্টি। এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আসরে নামে ব়্যাফ। আসে আরও পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে হাজির হন ডিসি সাউথ। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের পর পুলিশের লাঠিচার্জে কিছুটা পিছু হঠেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রবল উত্তেজনা চলে ঘণ্টা খানেক। তারপর পুলিশ গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। আগুন জ্বলতে থাকা বাসগুলির আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। পরে সেগুলিকে রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর বিকেলেও এলাকায় একটা থমথমে ভাব ছিল। রাস্তায় ছড়িয়েছিল ইট। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।