গোটা শহর আগেই জানত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার বিকেলে কলকাতায় পা রাখছেন। আর সেকথা মাথায় রেখে ছাত্র যুব থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ, বাম-কংগ্রেস একে একে রাস্তায় নেমেছে সকাল থেকে। বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। এনআরসি, সিএএ, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গো ব্যাক ধ্বনি উঠেছে। আর তার মধ্যেই এদিন বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তখন বিমানবন্দরের বাইরে চলছিল প্রবল বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান।
বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী হাজির হন রেসকোর্সে। সেখানেও দূর থেকে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার দেখে শুরু হয় বিক্ষোভ। যদিও বিক্ষোভকারীদের রেসকোর্সের ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেয়নি পুলিশ। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে রাজভবন পৌঁছন। সে পথ পুলিশ পরিস্কার রাখলেও তার আশপাশেই তখন চরম বিক্ষোভ চলছে।
ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। কালো পতাকা, কালো বেলুন, কালো হেয়ার ব্যান্ড পড়ে এনআরসি, সিএএ, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে ব্যানার হাতে অন্য বহু মানুষও বিক্ষোভ দেখান এখানে। ছাত্রছাত্রীদের একটি দল বিক্ষোভ দেখাতে নন্দনের কাছ থেকে ধর্মতলা অভিমুখে এগোয়। পুলিশ যদিও তাদের গতিপথ নির্দিষ্ট করে দেয়। রাজভবনের ধারেকাছেও কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। হেস্টিংসেও এদিন বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে পথে নামে বাম ও কংগ্রেস। শহর জুড়ে নানা প্রান্তে এভাবে বিক্ষোভের জেরে এদিন যান চলাচল প্রভাবিত হয়। বহু সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েন। চরম হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের।